নতুন মামলায় গ্রেফতার সালমান-মামুন-পলকসহ ১৪ জন

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৪ জনকে পৃথক ৪৭ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে নিহত ও আহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করেন।

সোমবার সকালে এসব অভিযুক্তকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা সাত থানার পৃথক ৪৭ মামলায় ১৪ জনকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার ১৭টি, মিরপুর থানার চার, ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মিরপুর থানার সাত, মোহাম্মদপুর এক, ধানমন্ডি তিন, বাড্ডার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জুনায়েদ আহমেদ পলকে মিরপুর তিন, বাড্ডা দুই, ধানমন্ডির এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এছাড়া রাশেদ খান মেননকে মিরপুর দুই, হাসানুল হক ইনুর মিরপুর-বাড্ডা-ধানমন্ডির থানায় একটি করে মোট তিনটি, দীপু মনির বাড্ডা থানার একটি, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের মোহাম্মদপুর থানার দুই ও আদাবর এক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালের বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানার একটি, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের ও যাত্রীবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামকে তেজগাঁও থানার একটি এবং সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়াও বাড্ডা থানার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী ও শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সূত্র : বাসস