০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ

হাইকোর্টের ৩০ বিচারপতির পদত্যাগে আইনজীবীদের আল্টিমেটাম

হাইকোর্টের ৩০ বিচারপতির পদত্যাগে আল্টিমেটাম দিয়েছেন আইনজীবীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ দেয়া হাইকোর্ট বিভাগের ৩০ জন বিচারপতিকে দুর্নীতিবাজ ও দলকানা উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে আবারো আল্টিমেটাম দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রধান বিচারপতির কাছে চার্টার অফ ডিমান্ড কর্মসূচি থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

মানববন্ধন অংশ নিয়ে আইনজীবীরা আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের চরম দুর্নীতিবাজ ও দলকানা বিচারপতিদের অবিলম্বে পদত্যাগ বা অপসারণ করার দাবি জানান। তারা বলেন, সবার আগে বিচার বিভাগের দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব সফল করতে হলে দলবাজ দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের অপসারণ করতে হবে। শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বিচারপতিদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। তারা এসব বিচারপতিদের নিজেদের পদত্যাগ করে চলে যাওয়ারও আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র আইনজীবী মহসীন রশিদ বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগকে পরিষ্কার করতে হবে। এখান থেকে কমপক্ষে ৩০ জনকে (বিচারপতি) বিদায় নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই দলবাজদের বিদায় করতে পারেনি, এটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকারের অনেক টুলস আছে যে তাদের বিদায় করতে পারে।’

তিনি দুই থেকে চার দিনের মধ্যে দালবাজদের বিদায় করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে টেনে হেচড়ে নামাতে চাই না এটা ভালো নজির হবে না।’

‘আমি বিচারপতিদের বলব আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করুন। সেটা না করলে আমরা আপনাদের নামাতে বাধ্য হব। সেটা ভালো নজির হোক বা খারাপ নজির হোক।’

আইনজীবী মামুন মাহবুব বলেন, ‘যারা নিয়োগ পাওয়ার পর এবং শপথ নেওয়ার পর ইন্টেলেকচ্যুয়াল দুর্নীতি করেছে। সরাসরি শেখ হাসিনা, শেখ তাপস এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। ফ্যাসিবাদকে জিইয়ে রেখেছে এবং দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করেছে। সেই বিচারপতিদের তালিকা, আমরা সাহস করে ৩০ জনের নাম প্রধান বিচারপতির কাছে দিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আমরা বারংবার এই চত্বরে আমাদের ছাত্র ভাইদের কষ্ট দিতে চাই না। জনগণকে কষ্ট দিতে চাই না। আশা করি, ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এই দুই ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে ২০ জন হোক, ৩০ জন হোক বা ৪০ জন হোক বিচারপতি পদত্যাগ করবেন। এবং ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে ৬০ জন যোগ্য বিচারপতি নিয়োগ করা যায়, বার ও লোয়ার জুডিশিয়ারি থেকে।’

জুলফিকার আলী জুনু বলেন, ‘বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বিচারপতিরা বসে আছেন। যাদের বিচারপতি নিয়োগের মাপকাঠি ছিল বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সেজন্য তাদের বিচারপতি বানানো হয়েছে। আরেকজন বিচারপতি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছেন। তাকে পুরস্কারস্বরূপ হাইকোর্টের বিচারপতি বানানো হয়েছে। এভাবে অসংখ্য উদহারণ রয়েছে।’

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল, কাজী জয়নাল আবেদীন, সরোয়ার হোসেন, এম আশরাফুল ইসলাম আশরাফ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement
সাকিবকে সুখবর দিলো বিসিবি আড়াইহাজারে ৭ দিন পর অপহৃত মাদরাসাছাত্রী উদ্ধার, তরুণী গ্রেফতার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লীতে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন তুরস্কের সাবেক মন্ত্রী রেজাই কোতানের ইন্তেকালে জামায়াত আামিরের শোক গত এক বছরে গাজার ৪০ হাজার স্থাপনায় হামলা ইসরাইলের কাল ওমরা করতে সৌদি যাচ্ছেন ড. মোশাররফ মিরসরাইয়ে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফসহ আ’লীগের ২৯ জনের নামে মামলা সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা উচ্চ আদালতের বিচারকদের কর্মকালীন ও অবসর-পরবর্তী নিয়োগ শাহপরীর দ্বীপ থেকে ৮ কেজি তিমি মাছের বমিসহ পাচারকারী আটক মানবিক সমাজ গঠনে শিক্ষাভাবনা

সকল