২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয়ের ২ কমিটি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার জন্য সরকার জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে। সদস্য করা হয়েছে দু’জনকে। তারা হলেন জেলা পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)। সদস্য সচিব করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনের সাথে এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি দাখিল করতে হবে। আবেদন প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দরখাস্তটি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরের (ক্ষেত্রবিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) কাছে মতামতের জন্য পাঠাবেন। আবেদন প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (ক্ষেত্রবিশেষে মেট্রোপলিটান পাবলিক প্রসিকিউটর) তার মতামত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠাবেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত সংগ্রহপূর্বক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে জেলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন।

জেলা কমিটির কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই সুপারিশ, মামলার এজাহার, চার্জশিটসহ আবেদন প্রাপ্তির ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংযুক্ত ‘ছক’ অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্য করা হয়েছে চারজনকে। তারা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্ম সচিব (আইন) ও আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব, আইন-১ শাখাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি
জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশ প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সুপারিশগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করবে ও মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর আওতাধীন মামলাসমূহের মধ্যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো ফৌজদারি মামলার ধারার বিধানমতে দুদকের লিখিত আদেশ ছাড়া প্রত্যাহার করা যায় না। এ কারণে এ ধরনের মামলা চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের মামলার বিষয়ে করণীয় পরে নির্ধারণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি গুজব’ পার্বত্য এলাকায় সহিংসতায় আহতদের পাশে রাঙ্গামাটি জামায়াত আমাদের সরকারি পর্যায়ে নীরবতার দিন শেষ, ভারতকে উদ্দেশ করে রিজওয়ানা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ শ্রীপুরে ঝুটের গোডাউনে আগুন ২১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৩ কোটি ডলার ‘ফারাক্কা বাঁধের কারণে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ব্যবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে’ নোয়াখালীতে দিনমজুরকে হত্যা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিক্যাল টিম

সকল