মাথাল প্রতীকে ইসির নিবন্ধন পেল সাকির গণসংহতি
দল নিবন্ধন আইনের পরিবর্তন দাবি- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০
অবশেষে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে জোনায়েদ সাকির রাজনৈতিক দল গণসংহতি। হাইকোর্টের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিবন্ধন দেয় ইসি। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তাদের মার্কা মাথাল। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও বিধিমালা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে। তাই এই আইন ও বিধিমালা পরিবর্তনের দাবি জানান তিনি। নিবন্ধন সনদ পেয়ে ইসিতে সাংবাদিকদের কাছে আইন পরিবর্তনে এই দাবি জানান।
প্রজ্ঞাপনে ইসি জানায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১৩৮০৫/২০১৮ এর বিগত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিলে প্রদত্ত রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গলপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ-১৯৭২ অধ্যায় ৬(এ) এর বিধান অনুযায়ী প্রধান কার্যালয় ৩০৬-৩০৭ রোজ ভিউ প্লাজা, ১৮৫ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, হাতিরপুল, ঢাকা ১২০৫ এ অবস্থিত গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত করেছে। এই দলের জন্য ‘মাথাল’ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইসির কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে ইসি থেকে তা অগ্রাহ্য হওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো: জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের আগে বিদায়ী হাবিবুল আওয়াল কমিশন আপিল না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে ইসির করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। একই দিনে দলটির বিষয়ে কারো কোনো দাবি আপত্তি রয়েছে কি না, সে জন্য ৬ দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল তার শেষ সময়।
সাংবাদিকদেকে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা ‘মাথাল’ প্রতীক হিসেবে পেয়েছে। প্রতীক ইসির আইনের মধ্য থেকে বাছাই করতে হয়েছে। আমরা মনে করি, এসব আইন পরিবর্তন করা দরকার। পুরো নিবন্ধন বিধিমালাই পরিবর্তন করা দরকার। কারণ দল নিবন্ধনের যে আইন ও বিধি তৈরি করা হয়েছে, তা জনগণের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে, রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার অধিকার ক্ষুণ্ন করে। ফলে নিবন্ধন আইন পরিবর্তন করে সহজ করে তোলা এবং প্রতীক অবারিত করা যেন দল তার পছন্দসই প্রতীক বাছাই করতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে দাবি জানিয়েছি, ভবিষ্যতেও আন্দোলন চালিয়ে যাবো।