১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
গণমাধ্যমকে ড. দেবপ্রিয়

আ’লীগের আমলে করা সব ধরনের চুক্তি খতিয়ে দেখব

-

বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর নথিপত্র খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটি। জিডিপি, জাতীয় আয়, মূল্যস্ফীতি ও এডিপির প্রাক্কলন করা হয় এগুলোর বস্তুগত ভিত্তিতে, যা অত্যন্ত দুর্বল। এগুলো কিভাবে হয় এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য আমরা আলাদাভাবে বিবিএসের (পরিসংখ্যান ব্যুরো) সাথে বসব বলে জানিয়েছেন অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও জাতীয় আয়ের তথ্য বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের নাজিয়া সালমা সম্মেলন কক্ষে গতকাল বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সরকারের তথ্য তৈরি, পরিবেশন এবং প্রাক্কলন যারা করেন, এমন ২৪টি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ড. সেলিম রায়হানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংস্থাগুলোর মধ্যে বিবিএস, বিআইডিএস, এনবিআর, বিডা, বেজা, বিসিক, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, রাজনৈতিক চাপে সরকারি কর্মকর্তারা সঠিক তথ্য দিতে অসহায় ছিলেন (পারতেন না)। ফলে তারা বাধ্য হয়েই যেকোনো সরকারি প্রাক্কলন করতেন। যারা ভয়ে বা চাপে এত দিন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তাদের বলা হয়েছে, এখন সময় এসেছে সে সুযোগ কাজে লাগান। তিনি বলেন, সব ধরনের চুক্তি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর মূল চুক্তির কাগজ চাওয়া হবে এবং খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছে সব ধরনের চুক্তির মূল কাগজপত্র চাওয়া হবে। এরপর কমিটি সেসব কাগজপত্র খতিয়ে দেখবে। ইতোমধ্যে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। শিগগিরই শ্বেতপত্র তৈরির কাজ শুরু করব।
এক প্রশ্নের জবাবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, আমাদের তৃতীয় সভা হবে। আমরা তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। এখন লেখার কাজ কিভাবে শুরু হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা যে উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলাম এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আমরা দ্রুত ঢাকার বাইরে টাউনহল বৈঠক করব। আমরা কী পেয়েছি সেই ভেতরের তথ্য এখন বলার সময় নয়, সময় এলে বলা হবে।
দেবপ্রিয় জানান, আগামী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য অথবা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি বা কী ঘাটতি ছিল এই বিষয়েও খোঁজ নেবে শ্বেতপত্র কমিটি। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, জ্বালানি ক্রয়, অথবা বৈদেশিক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর মূল চুক্তিগুলো দেখার সুযোগ কিভাবে হবে সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, শ্বেতপত্র কমিটি কোনো সংস্কার কর্মসূচি নয়। বরং দেশের অর্থনীতির জিরো পয়েন্ট খুঁজে বের করার কাজ চলছে। যেখান থেকে সংস্কার শুরু করা যাবে।{

 


আরো সংবাদ



premium cement
ব্যাংকিং সেক্টর রিফর্মে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক : অর্থ উপদেষ্টা ঢাবি ও জাবিতে গণপিটুনিতে হত্যা প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাকুন্দিয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর মাকে মারধর সুশীলতার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে বিপ্লবের মূল্যবোধ বেক্সিমকো গ্রুপের সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন : ডা. জাহিদ মহাদেবপুরে স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়ো : ইসরাইলকে জাতিসঙ্ঘ হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় বালুচর থেকে আহত স্কুলছাত্র উদ্ধার ঢাবি ও জাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা ও প্রতিবাদ

সকল