১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুপস্থিতিতে আটকে গেছে অনেক শিক্ষকের বেতন

-

গত ৫ আগস্টের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গা ঢাকা দিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি। আবার নিজেদের অপকর্মের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভের কারণে স্কুলে আসছেন না বিতর্কিত ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকা অনেক প্রধান শিক্ষক। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই দুই নীতিনির্ধারণী ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে আটকে গেছে শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী গত মাসের বেতন এখনো পাননি। ফলে বহু কষ্টে দিন কাটছে শিক্ষক পরিবারগুলোর। যদিও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিদের অপসারণ করে উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ইউএনও, জেলাপর্যায়ে ডিসি কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার কিংবা তার নিযুক্ত প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বভার নিয়েছেন। এ বিষয়ে গত ২০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখা থেকে উপসচিব মো: কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে তাদেরকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন মূলত তাদের স্বাক্ষরেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক না থাকায় বেতন আটকে গেছে। আবার প্রধান শিক্ষক থাকলেও সভাপতির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের কিছু বিষয়ে যাচাই-বাছাই করার কারণে বেতন ছাড় করতেও বিলম্ব হচ্ছে। এসব কারণে অনেক শিক্ষক এবং স্কুলের কর্মচারীদের গত মাসের বেতন এখনো পাননি।

গতকাল শনিবার কথা হয় ঢাকার ডেমরার হাজী মোয়াজ্জেম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষকের সাথে। তারা জানান, স্বাক্ষর জটিলতার কারণে আমাদের সবার বেতন এখনো হয়নি। সরকার মনোনীত সভাপতি এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুপস্থিতিতে আমাদের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন আটকে গেছে। অন্য দিকে ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার ধাপা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনও এখনো ছাড় করা হয়নি। ওই স্কুলেও সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের বাইরে রয়েছেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওসার আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। কাজেই প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে। আবার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের অনেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন কিংবা অফিসিয়াল কিছু বিষয় যাচাই-বাছাই করছেন। এতেও বেতন ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই বেতন ছাড়ে কোনো বিলম্ব হবে না। প্রত্যেক জেলা উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা ইতোমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করে বেতন সিট সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা করেই বেতন উত্তোলন করতে পারবেন। বেতন বিলম্বে পাওয়ার বিষয়টি মাউশির পক্ষ থেকে হচ্ছে না। তবে প্রতিষ্ঠান বিষয়ে কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন হলে সেটা তো মেনে নিতেই হবে।
উল্লেখ্য, বিগত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদ দখল করে নেয় আওয়ামী লীগে দলীয় লোকজন। অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরাও নানা ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। আবার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীদের গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিতে বাধা দিয়েছেন। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকে বিষয়ে বিষোদগার করেছেন। ফলে ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠানের সভাপতিরা নিজে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকদেরও অনেকে আর বিদ্যালয়ে আসছেন না। ফলে বেতন ভাতা আটকে গেছে ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কুলিয়ারচরে মসজিদ ও মাজার ভাঙচুরসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২টি মামলা কুলিয়ারচরে মসজিদ ও মাজার ভাঙচুরসহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২টি মামলা ইবির পাঁচ বিভাগে নতুন সভাপতি নিয়োগ শেরপুরে তিন দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী সা: মাহফিল, আজ ছিল শেষ দিন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব রাজবাড়ীতে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি-ওসিসহ ৭ জনের নামে মামলা গজারিয়ায় মামলা তুলে না নেয়ায় ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা ভারতের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান শ্রীনগরে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ৩

সকল