১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
হাটহাজারীতে মাদরাসাছাত্র হত্যা

ওসি রফিকসহ দায়ীদের শাস্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের

-

হাটহাজারীতে মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামি ওসি রফিকসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে হেফাজতে ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় সাড়ে তিন বছর আগে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে পুলিশের গুলিতে চারজন হেফাজত কর্মী ও মাদরাসা ছাত্র নিহতসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। হাটহাজারী মডেল থানার তৎকালীন ওসি রফিকের সরাসরি নির্দেশে ওই গুলি চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মাস্টার, সহদফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, হেফাজত হাটহাজারী উপজেলা সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আনিস, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, আবু তাহের রাজিব প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এতে বলা হয় সেদিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না, যা হেফাজতের তৎকালীন মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী রহ: বারবার বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনসহ একাধিক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও ওই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় হেফাজতের ওপর চাপানো হয়েছিল। সেদিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও হাটহাজারী থানায় জলকামানসহ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পুলিশের রণপ্রস্তুতি ছিল কেন?
ওসি রফিক হাটহাজারী মডেল থানার সামনে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মতো বাংকার স্থাপন কী উদ্দেশ্যে করেছিলেন?
ঘটনা যদি তৎকালীন প্রশাসন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাজানো নাটক না হতো তবে সেদিন সকাল থেকে ডিএসবির এসপি আব্দুল্লাহ আল মাসুম হাটহাজারী থানায় ছিলেন কেন?
আমরা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য ওসি রফিকসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় যে,আমরা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ওসি রফিককে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জামাই আদরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অথচ হেফাজত নেতাকর্মীদের টর্চার সেলে নিয়ে ইলেক্ট্রনিক শক, হাত-পায়ের নখ উপড়ে ফেলাসহ অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। যদি ওসি রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটন করা না হয় তবে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
জীবননগরে ধান ওড়াতে গিয়ে নারীর মৃত্যু ফটিকছড়িতে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা দিলো সেনাবাহিনী কর্ণফুলীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান হলেন সামিনা আহমেদ সোনারগাঁওয়ে নদ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতের সাথে সমন্বয়ের দাবিতে জেলেদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ ঢাবি কর্তৃপক্ষের ঢাবিতে পিটিয়ে মারা তোফাজ্জলের পাথরঘাটার বাড়িতে শোকের মাতম আরো ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : ডিএনসিসির সিইও

সকল