১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে সচিব, ডিজি পাল্টে গেছে পরিবেশ

গতকাল বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ডরুম পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজি : নয়া দিগন্ত -

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক চিত্র গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
গতকাল বেলা ৪টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে যান সচিব ও ডিজি। এ সময় তারা স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বিশ্রামঘর (এসি-নন এসি), বাথরুম, প্ল্যাটফর্ম যাত্রীদের বসার স্থান, টিকিট কাউন্টার ছাড়াও অপেক্ষমাণ ট্রেনের গার্ড রুম, চালকসহ অন্যান্য স্থান ঘুরে ঘুরে দেখার পাপপাশি তাদের সাথে কথাও বলেন। এ সময় সচিব ট্রেনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ট্রেন যাত্রীদের আরো উন্নত সেবা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। একই সাথে স্টেশনে কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে সেগুলোও তারা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। ঘণ্টাব্যাপী স্টেশন পরিদর্শন শেষে তারা চলে যান।
এক প্রশ্নের উত্তরে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মো: মাসুদ সারওয়ার নয়া দিগন্তকে বলেন, স্টেশনের পরিবেশ আগে থেকে আরো উন্নত হয়েছে। তবে প্রতিদিন যাত্রীর তুলনায় বিশ্রামগারের (এসি-নন এসি) আসন সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। যাত্রীরা এসে বসার জায়গা পান না। একটি ট্রেনের এসি ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা ২০০ হলেও সেই তুলনায় বিশ্রামের আসন রয়েছে সর্বোচ্চ ৩০-৩৫টি। অপর দিকে নন এসি যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য রয়েছে ২০-২৫টি। তাহলে এসব যাত্রীরা কিভাবে ভালো সেবা পাবেন। টয়লেটও তুলনামুলক অনেক কম। এসব সেবা বাড়ানো গেলে যাত্রী সেবা আরো বাড়বে বলে জানান তিনি। স্টেশনে ট্রলির শব্দে যাত্রীদের কান ফেটে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ বলেন, ট্রলির সংখ্যাই তো কমে গেছে। আগে যা ছিল এখন সেটাই তো নেই। এই সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এর আগে স্টেশনে একজন ট্রলিম্যান এ প্রতিবেদককে বলেন, ট্রলিতে যে চাকা লাগানো আছে সেই চাকা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এটার কারণে শব্দ হচ্ছে অনেক। টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের অবস্থা নেই। এখন কাউন্টার টাকা দিয়ে হাত ঢুকাবেন সাথে সাথে টিকিট পেয়ে যাবেন। কোনো সমস্যা নেই। স্টেশনে অপেক্ষমাণ চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঠ’ বগির এটেনডেন্ট খাইরুল ট্রেনের সমস্যা বিষয়ে বলেন, আমার বগির গেট চলন্ত অবস্থায় শুধু শব্দ হতে থাকে। গেট লাগে না। খুলে আবার আপনে আপনে লেগে যায়। এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু এখনো ঠিক করে দেয়া হয়নি। যাত্রীরা এ নিয়ে আমাদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement