০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারাদের ৭০ ভাগ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে

সব রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকের টাকা ফেরত দেয়া উচিত
-


জনশক্তি ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন বায়রা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শতকরা ৭০ ভাগ শ্রমিককে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে কতজন কর্মী টাকা ফেরত পেয়েছে সেটি বলতে পারব না। বায়রা থেকে তালিকা পেলে বলা যাবে। গত বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর অফিসে কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিমের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের কাছে বাংলাদেশ থেকে যেতে না পারা শ্রমিকদের বিষয়ে চিঠি লিখেছিলাম। আগামী মাসে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পর জানা যেতে পারে, কবে নাগাদ খুলবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রুহুল আমিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর ছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে ঢাকার বেশ কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, তারা প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যেক কর্মীকে চিঠি দিয়ে পাওনা বুঝে নিতে অফিসে আসতে বলা হয়। ইস্কাটন বাংলামোটর সড়কে থাকা একটি এজেন্সির মালিক বলেন, মালয়েশিয়ার ব্যবসা করতে গিয়ে এবার আমার কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। মানে এজেন্ট দ্বারা প্রতারিত হয়েছি। তারপরও আমার প্রতিষ্ঠান থেকে যে ক’জন কর্মীর ফ্লাইট দিতে পারিনি তাদের সবাইকে ১৮ তারিখের আগেই অফিসে ডেকে টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেছি।

এক প্রশ্নের উত্তরে ওই মালিক বলেন, বিদেশগামী যেসব কর্মী যেতে পারেনি তাদের অনেকে আমাকে বা আমার অফিসে টাকা জমা দেননি। তারা টাকা দিয়েছে তাদের এজেন্টকে। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের যাওয়ার জন্য ভিসা ও টিকিট এবং বহির্গমন ছাড়পত্র রেডি করার পরও কর্মী আসেনি।
এখন আবার ওই শ্রমিকরাই আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কমপ্লিন করেছে মন্ত্রণালয়ে। পরে শ্রমিককে ডেকে এনে টাকা জিজ্ঞেস করলে তখন ওই কর্মী জানান, ‘আমি টাকা দিয়েছিলাম আমার ভগ্নিপতির কাছে। তিনি টাকা জমা দেননি। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? তবে অনেক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক আবার পুরো টাকা নিয়েও শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পাঠাননি এটাও সত্য। আমি মনে করি, শ্রমিকরা অসহায়। তারা দিন আনে দিন খায়। তাদের টাকাগুলো সব মালিকদের দ্রুত দিয়ে দেয়া উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement