০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

পুলিশ ও সাধারণ মানুষ হত্যায় অংশ নেয় না : ওবায়দুল কাদের

-


কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী দেশবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। আমরা কোনো অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের খুনি এবং ২০১৩, ১৪, ১৫ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একই বিশ্বাসঘাতক, একই খুনি, তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, শিবির, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে সারা দেশে পাকিস্তানি কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে।
গত কয়েক দিনের সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, সে সংখ্যা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পত্রপত্রিকায় দুই শ’র মতো বা দুইশ’র চেয়ে একটু বেশি দেখতে পেয়েছি। আমরা এটার খোঁজখবর নিচ্ছি। অনেক জায়গায় যেমন- গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সাথে জুয়েল নামের একটি ছেলে সব সময় থাকত, তাকে উত্তরায় মেরে লাশ লটকিয়ে রাখা হয়। কী বর্বর! নৃশংসতা। পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিনি বলেন, অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখতে ছিল, বাচ্চা যখন তাকাল, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরনের ঘটনা আরো অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে, নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়ে ছিল। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।

‘আপনি বলেছেন অনেকেই রাস্তায় বের হয়ে, জানালা দিয়ে দেখার সময় গুলি খেয়ে মারা গেছে। এগুলোর বেশির ভাগই গানশর্টে মারা গেছে। তাহলে আপনি কি বলছেন জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল? সেটা কি উদ্ধার করেছেন’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো চলছে। উদ্ধার হবেই। এদের নির্দেশদাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে নৈরাজ্য-নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মির্জা ফখরুলের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে, এখন তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছেন। তারা সব সময় জনগণের ওপর আস্থা না রেখে বিদেশী প্রভুদের ওপর ভর করে রাজনীতি করেন। এ ক্ষেত্রেও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়া থেকে দায়মুক্তির জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির, জঙ্গিগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা আর যাতে সহিংসতা ছড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নেতাকর্মীদের কারফিউ মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় ‘এরা দেশের ধ্বংস চায়’ এই শিরোনামে আওয়ামী লীগ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করবে বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক জানান।


আরো সংবাদ



premium cement