চট্টগ্রাম বন্দরে এখনো ৪০ হাজার কনটেইনারের স্তূপ
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
চট্টগ্রাম বন্দরে এক সপ্তাহের অচলাবস্থায় দেশের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হওয়ার পর বন্দরে পণ্য খালাস নেয়ার তীব্রতা সামাল দিতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বন্দর ইয়ার্ডে এখনো প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের স্তূপ রয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি আইসিডিগুলোতে কনটেইনার পাঠিয়ে দিয়ে বন্দর ইয়ার্ডে সৃষ্ট জট পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই জাহাজ থেকে ইয়ার্ডে কনটেইনার নামছে। কিন্তু মাঝে ডেলিভারি বন্ধ থাকায় বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনারের স্তূপ বাড়তে থাকে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনই বেসরকারি আইসিডিগুলোতে সহস্রাধিক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে বন্দরের ওপর কিছুটা চাপ কমছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দর ইয়ার্ডে ৩৯ হাজার ৯০০ টিইইউএসের (২০ ফুট সাইজের প্রতি ইউনিট) বেশি আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার ছিল বলে সূত্র জানায়।
এ দিকে বন্দরের অচলাবস্থার প্রভাব পড়ে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায় বাণিজ্যে। কারফিউ জারির পর থেকেই স্থবির হয়ে পড়ে এখানকার ব্যবসায় বাণিজ্য। প্রায় পাঁচ হাজার দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিককে কর্মহীন হয়ে মানবেতর দিন কাটাতে হয়েছে। বন্দরে সচলতা ফেরার পর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসাও আস্তে আস্তে সচল হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নিত্যদিনের চেহারা পাল্টে গেছে। কারফিউ শিথিলে বেশির ভাগ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুললেও সেখানে মানুষের ভিড় নেই। ক্রেতা সঙ্কটে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জের সড়কে মালবোঝাই ট্রাকের জ্যামও তেমন নেই। ফলে সেখানে অলস সময় পার করছিলেন শ্রমিকরা।
হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা কম। আগে দৈনন্দিন হিসেবে যা বিক্রি হতো, এখন তা অনেক কমে এসেছে। শিগগিরই সব কিছু স্বাভাবিক হবে এবং বেচা বিক্রিও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা