০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৬
`
অর্থ মন্ত্রণালয়ের দাবি

জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা সঠিক নয়

-

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানির তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, জিডিপি ও মাথাপিছু তখন কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে তাও সঠিক নয়।
অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, অতিসম্প্রতি রফতানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায়, এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।
মন্ত্রণালয় বলেছে, রফতানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রফতানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপি হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় রফতানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছে-তা সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ছাড়া লেনদেনে ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এরই মধ্যে সবার অবগতির জন্য পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রফতানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত প্রকৃত রফতানি আয়প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটরের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেন্টিভ নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং সরকার কর্তৃক রফতানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে -তা সঠিক রয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রফতানি আয়ের তথ্য সংশোধন করে। এর ফলে গত দুই অর্থবছরে রফতানি আয়ের প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার উধাও হয়ে যায়। এই তথ্য সংশোধনের ফলে দেশের অনেক আর্থিক পরিসংখ্যান ওলটপালট হয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, রফতানি আয় সংশোধন করার কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ও কমে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement