০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৬
`
হাইকোর্টের রুল

মালয়েশিয়া যেতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরতের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না

-

ভিসাসহ অন্যান্য সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও প্রায় ২০ হাজারের মতো কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় ভিকটিমের জীবন ধ্বংসের জন্য কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেলিয়াপনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের জমাকৃত টাকা সুদসহ ফেরত দেয়ার পাশাপাশি জরিমানা দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর এ ঘটনায় আপডেট রিপোর্ট দাখিল করতে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো: তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন আদালত মন্তব্যে বলেছেন, করেছেন এখানে যেটা ঘটেছে তাতে সরকারের ব্যর্থতা প্রলক্ষিত হয়েছে। আমি মনে করি এ আদেশের ফলে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা তাদের অর্থ সুদসহ ফেরত পাবেন। এর আগে সোমবার প্রায় ২০ হাজারের মতো কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় করা রিট আবেদনের ওপর মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর আগে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে একটি প্রতিবেদনের কথা আদালতকে অবহিত করা হয়।
আদালতে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো: তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মো: তানভীর আহমেদ বলেন, প্রায় ২০ হাজার যুবক বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও যাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তারা নিয়ে যেতে পারেননি। এ বিষয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করে বলেছি, প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও আমরা দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আদালত ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, এ ব্যাপারে সরকার কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে সঙ্কটের কারণ অনুসন্ধানে গত ২ জুন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো: মাহবুবুল হককে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছিল প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে কয়েকটি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুক যেসব কর্মীর ই-ভিসা এবং বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহ করার পরও মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়নি সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিসগুলোকে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে কারণ দর্শানো হয়েছে।
মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু যেসব কর্মীর কাছ থেকে অর্থ নেয়ার পরও না পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে, সে সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মীদের সব দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিপূর্বক প্রমাণসহ আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে অবহিতকরণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement