২২ আগস্ট ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ সফর ১৪৪৬
`

খেলাপি ঋণ আদায়ে পিছিয়ে পড়ছে সোনালী ব্যাংক

এক বছরে বেড়েছে ২,২২৬ কোটি টাকা
-

খেলাপি ঋণ আদায়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে সোনালী ব্যাংক। ফলে রাষ্ট্রায়ত্তখাতের বৃহত্তম এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণে বেড়েই চলেছে। এক বছরের ব্যবধানে এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এখন সোনালী ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে ১৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকার ঘরে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে গত জুনে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এটি ব্যাংকের নিজস্ব প্রাক্কলিত হিসাব। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন শেষে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের স্থিতি ছিল ১২ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত এক বছরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ২ হাজার ২২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেড়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেদিক থেকে এপিএ’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি সোনালী ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, আলোচ্য সময়ে সার্বিকভাবে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়লেও বিতরণকৃত মোট ঋণের তুলনায় বা শতাংশের হিসেবে খেলাপি ঋণের হার কমেছে। গত বছর (২০২৩ সাল) জুন শেষে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার ছিল বিতরণকৃত মোট ঋণের ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। চলতি বছর জুন শেষে এটি কমে ১৩ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে ব্যাংকটিতে এক বছরে খেলাপি ঋণের হার কমেছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।

জানা গেছে, ব্যাংকটির প্রধান সমস্যা হচ্ছে- শ্রেণীকৃত ঋণের আধিক্য, গুণগত ঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে শ্লথগতি এবং শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে আদায়।

এ ছাড়া ব্যাংকের আরো কিছু সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা। মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে ব্যাংকের আর্থিক ভিত শক্তিশালী করা। সকল পর্যায়ে শুদ্ধাচার নীতি পরিপালনসহ ব্যাংকের সামগ্রিক কার্যক্রমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার আওতা বাড়ানো এবং ব্যাংকের গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন ইত্যাদি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে খেলাপি ঋণের স্থিতি ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সোনালী ব্যাংক। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ ও অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায় করবে যথাক্রমে ৪৫০ কোটি টাকা ও ৩৫ কোটি টাকা। গত জুন শেষে সোনালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণের স্থিতি ৬ হাজার ৬০৭ কোটি ১১ লাখ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।

সূত্র মতে, সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেলাপি ঋণ আদায় ও অবলোপনকৃত ঋণ থেকে আদায়ে সোনালী ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫০০ কোটি টাকা এবং ৬৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটি ৩৭১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ এবং অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আদায় করেছে। অর্থাৎ খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
অন্যান্যের মধ্যে গত জুন শেষে সোনালী ব্যাংকের মোট লোকসানী শাখার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫টি। তবে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকের লোকসানী শাখার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। অর্থবছর শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৭টিতে।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংক ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৬ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজীপুরে বিভিন্ন দাবিতে ৭টি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ-অসন্তোষ ভারত বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে চায় নগদে প্রশাসক নিয়োগ, আজ দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩০ আগস্টের আগেই গুম বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাসহ সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ফেনীতে বন্যা : বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের, বাধা বিজিবির ভারতে প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যে বিতর্ক বন্যায় ভাসছে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরো দেশ পুনর্গঠনে জাপান ও যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস

সকল