কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা : প্রধান বিচারপতি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে কোটা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আপনারা তো সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতা, আপনাদের দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। যারা কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদের বোঝান, পরামর্শ দিন। বিষয়টি আদালতের সামনেই আসবে এবং আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা আন্দোলন করছেন তাদের পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটি গুরুত্ব সহকারে শুনব।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় সংসদকে ১৬ দফা পরামর্শ দিয়ে হাইকোর্টে দেয়া একটি রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানির একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতি দুর্নীতিই, আমার দুর্নীতি হোক বা পিয়নের দুর্নীতি হোক। দুর্নীতি দূর হোক।
পরে ওই মামলায় চেম্বার জজ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আপিল করার অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিতাস গ্যাসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান সরকার ও টেকনিশিয়ান আব্দুর রহিমের সাজা বাতিলের ওই ১৬ দফা পরামর্শ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এ রায় দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান ও আসামি পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন।
শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, দেশের স্বার্থে হাইকোর্ট দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১৬ দফা পরামর্শ দিয়েছেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সংসদকে পরামর্শ দিতে যাব কেন? আমরা কি সংসদকে পরামর্শ দিতে পারি? হাইকোর্ট নির্বাহী বিভাগকে ও সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি চাইলে পরামর্শ দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে সেই পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন, নাও পারেন।
দুর্নীতির বিষয়ে শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, গত রাতে আমরা হাইকোর্টেও দুই কর্মচারীকে ধরে পুলিশে দিয়েছি। তারা বিচারপতির নাম ভাঙিয়ে ঘুষ নিয়েছিল। দুর্নীতি দুর্নীতিই, আমার দুর্নীতি হোক বা পিয়নের দুর্নীতি হোক। দুর্নীতি দূর করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা