১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিদ্যমান পাঠ্যক্রম প্রজন্মকে মেধাহীন ও চরিত্রহীন করছে

সংবাদ সম্মেলনে আইম্মা পরিষদ নেতৃবৃন্দ
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে নেতারা : নয়া দিগন্ত -


বিদ্যমান পাঠ্যক্রম প্রজন্মকে মেধাহীন ও চরিত্রহীন করে তুলছে। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা কতটা ভয়াবহ ও নৈরাজ্যকর তা সচেতন মহল অবগত। যে শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষিত, মার্জিত, দেশপ্রেমিক ও ধার্মিক একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার কথা, সে শিক্ষাব্যবস্থায় ভাষাগত, নীতিগত ও চরিত্রগত এমন সামগ্রিক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, যা দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর চিন্তা ও মননের সাথে সাংঘর্ষিক এক শিক্ষাব্যবস্থায় রূপ নিয়েছে। শিক্ষা একজন নাগরিককে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পেশাগত জীবনে সৎ, দায়িত্ববান, ধর্মপরায়ণ ও দেশপ্রেমী হতে সাহায্য করে। আর এটা নিশ্চিত করা হয় দেশের জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতি রেখেই। কিন্তু বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় তা উপেক্ষিত থেকে গেছে। বরং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা হতে ধর্ম ও নৈতিকতাকে সরিয়ে ফেলে, মৌলিক দর্শন হিসেবে ব্রাহ্মণ্যবাদ, সেকুলারিজম ও ধর্মহীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে “বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম : দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকদের করণীয়” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। পরিষদের সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজীর উপস্থিতিতে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা করেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, সহ-সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে আট দফা দাবি এবং তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, বিতর্কিত জাতীয় পাঠ্যক্রম বাতিল করতে হবে, বিদেশের অন্ধ অনুসরণ নয় বরং যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নে অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কিরামের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা, পাঠ্যপুস্তক হতে বিতর্কিত ও ইসলামী আকিদাবিরোধী বিষয়গুলো বাদ দেয়া। স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সংস্কৃতি, অনৈসলামিক শব্দ এবং অশ্লীল চিত্র মুক্ত রাখা, মাদরাসা শিক্ষা কারিকুলাম মাদরাসা সংশ্লিষ্ট আলেম, ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষকদের দ্বারা পরিমার্জন করা ও আলিয়া মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন করা, দশম শ্রেণী পর্যন্ত স্ব-স্ব ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, প্রকৃতি বিরুদ্ধ ও দেশীয় সংস্কৃতি বিরোধী ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ পাঠ্যপুস্তক থেকে বাতিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা, সমাজে অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা,“কৃষি শিক্ষা” ও “গার্হস্থ্য বিজ্ঞান” শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে বাধ্যতামূলক।
কর্মসূচি : মাসব্যাপী জেলায় জেলায় বিতর্কিত পাঠ্যক্রম ইস্যুতে ওলামা, শিক্ষাবিদ ও সুধি সম্মেলন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে থানায় থানায় ওলামা ও সুধি সম্মেলন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় সম্মেলন করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেন, নতুন কারিকুলামে সূক্ষ্ণভাবে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, ইসলাম ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী যেসব বিষয় রয়েছে, মৌলিকভাবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ : শিল্প ও সংস্কৃতির নামে ইসলামী সংস্কৃতি মুছে ফেলা। একমুখী শিক্ষার নামে মাদরাসা শিক্ষাকে ধ্বংস করার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা। বিজ্ঞান শিক্ষা সঙ্কোচনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাকে ধ্বংস করে জাতিকে পরনির্ভরশীল করা। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় পরিচয় যাতে না থাকে, এভাবে তাদের মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করা। মানব সভ্যতা বিধ্বংসী ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ ও যৌনাচারকে প্রমোট করা। পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী আগ্রাসন। “কৃষি শিক্ষা” বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তিকেই অস্বীকার করা। “গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে” আগে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে সফল হওয়ার কৌশল শিখানো হতো। কিন্তু এই শিক্ষাকে বাদ দিয়ে আমাদের কোমলমতি মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ড্যান্সার, নায়িকা, গায়িকা, অভিনেত্রী ইত্যাদি বানানোর প্রচেষ্টা। পশ্চিমা মতবাদ ও ডারউইনিজমকে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া। মুসলিমদের অবদান গোপনের চেষ্টা। যেমন : ক) ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণীর “ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান” বইয়ের ১২০ পৃষ্ঠায় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখ করার মাধ্যমে মুসলিমদের স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মত্যাগের ইতিহাসকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা মূলত ইতিহাস বিকৃতি ও মুসলিমদের অবদান গোপনের মারাত্মক অপচেষ্টা। খ) মুসলিম শাসকদের ইতিহাস এড়িয়ে যাওয়া। মুসলিম শাসকদের অত্যাচারী শাসক হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা। ২০২৪ সালের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে এমন কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে, যা ইতঃপূর্বে ছিল না। এর ব্যাপকতা অনেক। সেখান থেকে কিছু তথ্য উদ্ধৃত করা হলো, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণীর ইংলিশ ফর টু-ডে বইয়ের ২য় পৃষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের পরস্পর কথোপকথনের সময় সালাম বিনিময়ের সচিত্র শিক্ষা ছিল।

কিন্তু ২০২৩ সালে সালাম মুছে ফেলে সেখানে “গুড মর্নিং” শব্দ দেয়া হয়েছিল এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় শ্রেণীর “বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়” বইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠায় দেশীয় সংস্কৃতির নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা আর ঢোল-তবলা উপস্থাপন করা হয়েছে। ৭ম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১৮, ৯৫ ও ৯৬ পৃষ্ঠা, চতুর্থ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়; ৮৪ পৃষ্ঠাসহ অনেক ক্ষেত্রেই ডি-ইসলামাইজেশন করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ৯৭ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে যে, “আমার মা কপালে চুমু দিলেও, আমি হয়তো আমার বন্ধুকে চুমু দিতে দিবো না। তবে সে একই বন্ধুর সাথে হাত ধরে ঘুরতে আমার অস্বস্তি লাগবে না।” এখানে মেয়ে নাকি ছেলে বন্ধু তা উল্লেখ করা হয়নি। আবার চুমু খেতে হয়তো না দিলেও হাত ধরে ঘুরতে, বের হতে তেমন বাধা নেই। আজকে সমাজে অসংখ্য কিশোর-কিশোরী পিতা-মাতার অজান্তে বন্ধুর হাত ধরে নিখোঁজ হচ্ছে এবং ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের সভ্য সমাজকে অসভ্য অবাধ যৌনতার সমাজে পরিণত করার কূটকৌশল বৈ কিছুই নয়। সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৩৯ থেকে ৪৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত শরীফ ও শরীফার গল্প আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ওই বইয়ে যে বিষয়টি নিয়ে সারা দেশব্যাপী প্রকৃতি বিরুদ্ধ ও দেশীয় সংস্কৃতি বিরোধী ট্রান্সজেন্ডার প্রমোট করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।

কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নিয়ে ২০২৪ সালেও ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টি বইয়ে উল্লেখ রয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাথে ট্রান্সজেন্ডারকে তালগোল পাকিয়ে পাশ্চাত্য থেকে আমদানিকৃত সমকামিতাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই কারিকুলাম একমুখী হওয়ায় জেনারেল সাবজেক্টগুলো হুবহু স্কুল শিক্ষার সিলেবাস থেকে মাদরাসা শিক্ষার পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাঠ্য বইগুলোতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা মাদরাসা শিক্ষার বোধ-বিশ্বাসের বিপরীত। ষষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্যসুরক্ষা বইয়ের ৪৭ থেকে ৪৯ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে নারী-পুরুষের দেহের পরিবর্তন, নারী-পুরুষের শরীর থেকে কী নির্গত হয়, কোন অঙ্গের আকার কেমন হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কেমন আকর্ষণ হয় তা খোলামেলাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা ষষ্ঠ শ্রেণীর কোমলমনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেমন অনুপযোগী তেমনি বিষয়টি পাঠদানে শিক্ষকরাও হচ্ছেন চরমভাবে বিব্রত। একই শ্রেণীর বিজ্ঞান ও অনুসন্ধানী পাঠের ১০ম অধ্যায় “মানব শরীর” শিরোনামে ১১১ থেকে ১১২ পৃষ্ঠায় নারী-পুরুষের গোপনীয় অঙ্গগুলো সম্পর্কে খুব খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। যা থেকে কোমলমতি শিশুর মনে ভয়ঙ্কর কুপ্রভাব পড়ছে। পাঠ্যবইয়ের বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের গ্রুপ ডিসকাশন করতে হয়, গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। শিক্ষার্থীদের এ বিষয় ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এগুলো ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে গেলে সে পর্নোগ্রাফির মুখোমুখি হবে। এভাবে স্পর্শকাতর বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে লজ্জার বাঁধন উঠে যাবে এবং যেকোনো অনৈতিক কাজে তাদের অনায়াসে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের ভাষার চেয়ে সাহিত্য বেশি। আমরা মনে করি অনার্স-মাস্টার্স লেভেলের গল্প ও কবিতার পাঠ অষ্টম শ্রেণীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এই বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এই সাহিত্যের জ্ঞান অর্জন করতে পারা ততটা সহজ নয়। ফলে ইংরেজি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের ভীতি সৃষ্টি করবে। ষষ্ঠ শ্রেণীর বইতে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের বিশেষ পোশাকে ছজ কোড যুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রশ্নফাঁস মহামারী আকার ধারণ করেছে। একে নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা ও মূল্যায়নকে পুরো মাত্রায় সঙ্কুচিত করা হয়েছে। তার ওপর যুক্ত হয়েছে এই প্রশ্নফাঁস। শিক্ষানবিস শেষ করার পর ছাত্ররা চাকরির বাজারে যাবে, নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে, নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে; কিন্তু বিভিন্ন দলীয় ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা কিছু চক্র প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে প্রকৃত মেধাকে গলা টিপে হত্যা করে যাচ্ছে। চক্রে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সারা দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণরা চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনে সরব রয়েছেন। আমরা মনে করি ‘কোটা পদ্ধতি’ দেশকে মেধাশূন্য ও অকার্যকর অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। তাই সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শিবচরে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন প্রাথমিকের শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ চট্টগ্রামে টিভি বিস্ফোরণে বসতঘর পুড়ে ছাই কুয়াকাটায় সাবেক মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ২ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাতনিকে অপহরণে বাধা দেয়ায় নানিকে হত্যার অভিযোগ, আহত ২ ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন সাবেক ৫ এমপির স্ত্রী-সন্তানসহ বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

সকল