বাংলা ব্লকেডে নিয়ন্ত্রণহীন রাজপথ, উপচে পড়া ভিড় মেট্রোরেলে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল ঢাকার রাজপথ। কোথাও ছিল তীব্র যানজট, আবার কোথাও ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। গণপরিবহন চলাচল ছিল প্রায় বন্ধ। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেলে চড়তে গিয়েও পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে হিমশিম খেতে হয়েছে অনেককে। বেশির ভাগ যাত্রী কাক্সিক্ষত ট্রেনে উঠতে পারেননি। কয়েকটি ট্রেন যাওয়ার পরই ঠাসাঠাসি করে উঠতে পেরেছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরা থেকে শুরু করে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ও ভোগান্তি দেখা গেছে এভাবেই।
রাজধানীর সচিবালয়ে মেট্রোরেলের স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে মেট্রো স্টেশনে যাচ্ছেন। টিকিট কাউন্টার থেকে স্টেশনের সিঁড়ি পর্যন্ত যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিলগামী রাসেল হায়দার জানান, আন্দোলনের কারণে রাজপথ প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের কারণে কোথাও যানবাহনের চাকা ঘোরেনি। দীর্ঘসময় এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যানবাহনকে। আবার কোথাও ছিল একেবারেই ফাঁকা। রিকশা ছাড়া মোটরসাইকেলও চোখে পড়েনি। দৈনিক বাংলা, পল্টন, মহাখালীর রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিল শত শত গাড়ি। বেশির ভাগ চালক গাড়ি থেকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বাধ্য হয়ে বাসগুলোর যাত্রীরাও নেমে যান। আটকে থাকা রিকশা চালকরা হাঁসফাঁস করতে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
সাইফুল হক নামে এক যাত্রী বলেন, গণপরিবহন না পেয়ে সদরঘাট থেকে হেঁটে সচিবালয় স্টেশন পর্যন্ত এসে মেট্রোরেলে উঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখানে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন থাকায় দুটো ট্রেন চলে গেলেও তিনি উঠতে পারেননি। হয়তো আরো একটি যাওয়ার পর উঠতে পারবেন।
দুপুরে শেওড়াপাড়া স্টেশনে রাকিবুল হাসান নামে মতিঝিলগামী একজন যাত্রী বলেন, আন্দোলনের কারণে বাস মালিকরা গণপরিবহন কম ছেড়েছেন। যেগুলো ছাড়া হয়েছে সেগুলোও রাস্তায় আটকে গেছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই মেট্রোরেলে চড়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে অনেক নারী, শিশু এবং অসুস্থ রোগীরাও রয়েছেন। তবে অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় হওয়ায় তারা ঠিকমতো উঠতে পারছেন না। আবার অন্য দিনের তুলনায় মেট্রোরেলও কিছু সময় দেরি করে স্টেশনে পৌঁছানোতে ভিড় আরো বেড়ে যাচ্ছে।
ফার্মগেটগামী যাত্রী রাফসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমার সমর্থন আছে। যদিও আন্দোলনে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। গরমে নাকাল জনজীবন। বাস ছেড়ে মেট্রোতে যাওয়ার জন্য টিকিটের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছি।
সচিবালয়ের স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্য দিনের তুলনায় চাপ বেশি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণ গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আমাদের একটু চাপ হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেরি হওয়ার বিষয়ে তারা বলেন, যাত্রীদের চাপ থাকায় স্টেশনগুলোতে একটু বেশি সময় থাকতে হচ্ছে। দরজাগুলো বন্ধ করতে গিয়েও চালকরা যাত্রীদের চাপে তা করতে পারছেন না। যার কারণে কিছু সময় দেরি হতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা