১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
১০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি

গাজীপুরে অপহরণের ৪ দিন পর কলাবাগানে মিলল শিশুর লাশ

-

গাজীপুরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণের পর অবশেষে কলাবাগানে মিলল অপহৃত সাত বছরের শিশুর লাশ। নিখোঁজের চার দিনের মাথায় গতকাল বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগীর কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ এলাকার একটি কলাবাগানের ভেতর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম তামীম। সে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বাইল্যা তুসকান্দা গ্রামের মো: নাজমুল হাসানের ছেলে। তামীমরা এক ভাই এক বোন। তারা কোনাবাড়ি আমবাগ রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তামীমের বাবা নাজমুল কোনাবাড়ি এলাকায় ঝুট ব্যবসা করেন। নিহত তামীম আমবাগ আইন উদ্দিন মাদরাসায় পড়ত।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় শিশু তামীম বাবার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। পরে এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন স্থানে বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে কোনাবাড়ি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, নিখোঁজের একদিন পর অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে তামীমকে জীবিত ফেরত চাইলে ১০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরের দিন তামীমের বাবা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের দেয়া তথ্য মতে ময়মনসিংহ যান।

কিন্তু সেখানে গিয়ে অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পান। অবশেষে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ মধ্যপাড়া কলাবাগানের পাশের বাড়ির লোকজন ঘরের জানালা দিয়ে বাইর দিক থেকে উৎকট দুর্গন্ধ পান। ওই দুর্গন্ধের সূত্র খুঁজতে পাশের বাড়ির লোকজন কলাবাগানের ভেতর গিয়ে একটি শিশুর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা কলাবাগানে গিয়ে ভিড় জমান। খবর পেয়ে নিখোঁজ শিশুর স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তামীমের লাশ শনাক্ত করেন। পরে কোনাবাড়ি থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠায়।
জিএমপি কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু তামীমের লাশ শনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement