১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইঁদুরের সাথে বন্ধুত্ব

-

বাসায় ইঁদুরের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বিড়াল পোষেন। অথচ সেই ইঁদুরের সাথেই গড়ে উঠেছে মানুষের প্রেম।
মানুষ একা থাকতে পারে না। অবাক বিষয় হলো কেবল মানুষই নয়, সঙ্গ চায় ইঁদুরের মতো প্রাণীরাও। তাদেরও আছে বন্ধু। সে বন্ধুত্ব আবার যার তার সাথে নয়, তাদের চোখে দানবাকৃতির মানুষের সাথেই। যেখানে মানুষ দেখলে পালিয়ে বাঁচে ইঁদুর, সেখানে মানুষ-ইঁদুরের বন্ধুত্ব ছাপিয়ে গেছে সবকিছু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে ছোট ব্যবসা রয়েছে কামাল মিয়ার। ফুটপাথে পাটি বিছিয়ে বিক্রি করেন নানা রঙের মালা। প্রতিদিন যা আয় হয়, তা দিয়েই খেয়ে পরে আছেন কোনোমতে। তার সাথেই গড়ে উঠেছে ইঁদুরের সখ্যতা।

কামাল মিয়া যেখানে বসে ব্যবসা চালান, তার পাশেই রয়েছে কিছু ইঁদুর। রাস্তার পাশের গর্ত ও ড্রেনের ভেতরেই তাদের বাস। কামাল মিয়াও সেটি লক্ষ্য করেছিলেন প্রথম দিন থেকেই। প্রাণীপ্রেমী এই মানুষটি প্রায় প্রতিদিনই সেই গর্তে রেখে আসতেন খাবার। একসময় ইঁদুরগুলোও নিয়ম করে সে খাবার নিতে শুরু করে।
তিনি বলেন, আমি প্রতিদিনই ইঁদুরগুলোকে খাবার দিই। আগে গর্তের মুখে খাবার রেখে আসতাম। তবে এখন সখ্যতা গড়ে ওঠায় আস্থা জন্মেছে আমাদের। তাই এখন আর খাবার রেখে আসি না। আমার ডাক শুনলেই তারা চলে আসে এবং হাত থেকে খাবার নিয়ে খায়।
এদিকে তিনি তার বন্ধুত্ব সীমাবদ্ধ রাখেননি ইঁদুরের ভেতরে। ছড়িয়ে দিয়েছেন অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও। চড়ুই, শালিক, কাঠবিড়ালিসহ আরো অনেকেই কামালের ভালোবাসায় মুগ্ধ।


আরো সংবাদ



premium cement