মানিকগঞ্জে যুবককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
- ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মো: ঝন্টু মিয়া ওরফে সোহাগ (২৫) নামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত রোববার রাতে উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের উয়াইল পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য।
নিহত যুবক উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের উয়াউল পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। পেশায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক ছিলেন। অভিযুক্ত জাকির হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা নেদুন মিয়ার ছেলে। সে পেশায় মাটি ব্যবসায়ী।
রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মাটিবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে ঝন্টুর বাড়ির সামনে পাকা সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে জাকির হোসেনের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানান ঝন্টু। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জেরে রোববার রাত ৮টার দিকে ঝন্টুকে রাস্তা থেকে তুলে ঈদগাঁও মাঠে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঝন্টু গত রোববার রাত ৮টার দিকে কলিয়া বাজার থেকে বাড়ি আসছিল। তার নিজ গ্রামের ঈদগাঁও মাঠের সামনে এলে একই গ্রামের জাকির, তার ছেলে ছেলে জাহিদ ও তার ৮-৯ জন সহযোগীরা মিলে বেধড়ক লাঠিপেটা করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জাহিদ ও তার ৮-৯ জন সহযোগী মিলে ঝন্টুকে লাঠিপেটা করে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। পরে গ্রামের মানুষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ঝন্টুর লাশ নিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাকির হোসেন পলাতক আছেন। দৌলতপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য বলেন, জেলার কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।