১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও ওষুধ দেবেন না’

-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা: দীন মো: নূরুল হক বলেছেন, বর্তমানে কোনো কোনো চিকিৎসক রোগীদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেন। এই টেস্টের পরীক্ষামূল্য থেকে সেই ডাক্তার নির্দিষ্ট হারে কমিশনও পেয়ে থাকেন। এসব করবেন না। আমি আমার ৪০ বছরের চিকিৎসা পেশায় কোনোদিন রোগীদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেইনি। টেস্টের বিনিময়ে কোনো ধরনের কমিশন নেয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে মেডিক্যাল এথিক্স ও লিগ্যাল ইস্যু-বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভিসি বলেন, কোনো কোনো সার্জন প্রয়োজন ছাড়াই রোগীদের অপারেশন করেন। অপারেশন থিয়েটারে অপ্রয়োজনে অনেক ওষুধ লেখা হয়, অপ্রয়োজনে অনেক সার্জিক্যাল আইটেম রোগীর স্বজনকে দিয়ে কেনানো হয় এবং পরবর্তীতে আবার ফার্মেসিতে সেসব ওষুধ বিক্রি করা হয়। এসব পুরোপুরি বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, হৃদরোগের চিকিৎসায় হার্টে রিং পরানো নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। কোনো কোনো চিকিৎসক আবার রোগীদেরকে অপ্রয়োজনীয় দামি ওষুধ দিয়ে থাকেন। যাকে মানুষ ডিববা প্র্যাকটিস বলে থাকে, এই ধরনের ডিববা প্র্যাকটিস দমন করা হবে।
তিনি বলেন, রোগীদের অনেক সেনসেটিভ বিষয় মেডিক্যাল এথিক্সের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকলে সেসব বিষয়ে যথাযথভাবে মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। চিকিৎসা পেশায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। শিক্ষক হিসেবে সব ছাত্রছাত্রীর প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে।
বর্তমানে সংক্ষুব্ধ রোগীরা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিএমডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনকি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করছেন।
একজন অভিযুক্ত চিকিৎসককে চারদিক থেকে আক্রমণ করা হয়। কিন্তু এ ধরনের প্রায় সব বিষয়ই শুধুমাত্র বিএমডিসির মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। এ বিষয়টি নিয়েও ভাববার সময় এসেছে।
অন্য বক্তারা বলেন, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা নিষ্পত্তির সম্পূর্ণ দায়িত্ব ও ক্ষমতা বিএমডিসিকে দিতে হবে। কোনো অভিযোগ আদালত পর্যন্ত যাবে কিনা সেটা নির্ধারণ করবে বিএমডিসি।
অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) এথিক্স অ্যান্ড প্রফেশনালিজম সাব-কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের সাবেক ডিন ও বিএমডিসির ইসি মেম্বার অধ্যাপক ডা: এম ইকবাল আর্সলান ও বিএসএমএমইউয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: ডা: সায়েদুর রহমান।


আরো সংবাদ



premium cement