এইবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না : আমীর খসরু
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:২৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। যত দিন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, তত দিন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, লুটপাট অব্যাহত থাকবে। বেগম জিয়ার মুক্তির সাথে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক হয়েছে অনেক শুনেছি, অনেক দেখেছি। আর সইবো না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। আর যারা বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী করেছে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার জন্য। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে এবং সেই মামলার মাধ্যমে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে যারা জড়িত। খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে যারা জড়িত সবাইকে তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। ওরা অপরাধী, অপরাধ করেছে। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেন নাই। যে ট্রাস্টের কথা বলা হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও বেগম খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেন নাই। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে-আসলে চার গুণ হয়েছে এখন।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর সভাপতিত্বে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক প্রমুখ।
আমীর খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলা দিয়েছে। তাকে একবার পাঁচ বছরের একবার দশ বছরের। ভেবে দেখুন কত বড় অপরাধ তারা করেছে। বাংলাদেশের কোনো আইনে বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হয় না। বাংলাদেশের সংবিধানে যে কথাগুলো বলা আছে সে অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হয় না। জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ডিকারেশন অব হিউম্যান রাইটসে পরিষ্কারভাবে বলা আছে এটি কোনো দণ্ডনীয় অপরাধ নয়।
তিনি বলেন, দেশ আজকে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে এই দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশের গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য যে নেত্রী স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এককভাবে আন্দোলন করেছেন। উনাকে দেখেছি না আমরা, উনি কি কারো সাথে হাত মিলিয়েছিল? অন্য নেত্রী এরশাদের সাথে সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচন করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া কোনো আপস করেন নাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনবাজী রেখে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। এরপর স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। এই নেত্রী গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের আন্দোলন, আমাদের জনগণ ও নেতাকর্মী যত না শক্তিশালী ছিল, আজকে আমরা তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এইবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না। বলে না, চোরের ১০ দিন গৃহস্থের একদিন, সেই দিন চলে এসেছে। আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে, হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার রেজিমকে পরাজিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ জিয়া পরিবারকে অত্যন্ত ভালোবাসে। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যদি আজকে মুক্ত থাকতেন তাহলে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারত না। এই সরকারের যারা হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে তাদের ধরা হয় না। অথচ সামান্য অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। উপমহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নোংরা রাজনীতি করছে। তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির বিরোধিতা করছে সরকার। আমরা সরকারকে আবার আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাকে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দেয়া হোক। কারণ তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা