০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজে সন্তুষ্ট নয় সংসদীয় কমিটি

-

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফিনিশিং ও ফিটিংসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এই সুপার স্ট্রাকচার নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠিত উপকমিটি। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপকমিটির আহ্বায়ক এম এ লতিফ এমপি ও মজিবুর রহমান মনজু এমপি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন শেষে এই মন্তব্য করেন। উপকমিটির প্রধান এম এ লতিফ এমপি নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত এই সুপার স্ট্রাকচারের রেলিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে এসএসএ। কিন্তু এর ক্লামের নাটবল্টু ব্যবহার করা হয়েছে লোহার যাতে এরই মধ্যে মরিচা ধরেছে। ফাটলের যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চুয়েট বা আর্মি কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের সহায়তায় এক্সরেসহ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে পরিদর্শন শুরু করে উপকমিটি। পরে তারা লালখান বাজার মোড়ে এসে পরিদর্শন শেষ করেন।
এম এ লতিফ এমপি বলেন, এটি সুপার স্ট্রাকচার। এর নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা দেখতেই আমাদের সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা পতেঙ্গা অংশ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখেছি। এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে দু’পাশের সীমানা দেয়ালে (রেলিং) যে কাম লাগানো হয়েছে- সেগুলো মানসম্মত নয়। সেখানে কেন লোহার নাটবল্টু ব্যবহার করা হয়েছে সে বিষয়ে পরিদর্শনকালেই পরামর্শক এবং প্রকল্প পরিচালককে জিজ্ঞেস করেছি আপনারা কি সুপারভাইজ করেছেন। তিনি বলেন, ফিনিশিংটা আমরা যা দেখেছি স্মুথ মনে হয়নি। দুয়েক জায়গায় রডও বেরিয়ে আছে।
ফাটলের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু ফাটল এখানে (লালখান বাজার অংশের পিলারে) দেখেছি। ছবি তুলে নিয়েছি। আমরা বিশেষজ্ঞ নই। বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করব। এসব ফাটল আর্মি কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বা চুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এক্সরেসহ পরীক্ষা (কেমিক্যাল টেস্ট) করাব।
তিনি বলেন, এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এতে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম হলে জেল জরিমানাসহ সব শাস্তি হবে। আমরা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং সবকিছু সংগ্রহ হলে যাচাই বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি গত ১০ জুন একটি উপকমিটি গঠন করে দেয়। উপকমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো: মজিবুর রহমান মনজু এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্য পারভীন জামান।
নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের র্যাঙ্কিন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণব্যয় চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে মূল কাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন ১৪টি র্যাম্পের মধ্যে কয়েকটি র্যাম্প নির্মাণের কাজ চলছে। বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হলে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা স্মারক ইউক্রেনে তেলের লরি ও মিনিবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ১৪ হজের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা জানালেন সানিয়া মির্জা বালিয়াডাঙ্গীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কাশ্মিরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮ ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু গাজা যুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নেবে যুক্তরাজ্য : নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরের জল্পনার মধ্যেই ভবিষ্যৎ নিয়ে ইঙ্গিত রোনালদোর এলপিএলে একই দিনে সফলতা মোস্তাফিজ-তাসকিন-শরিফুলের রাবি ক্যাম্পাসে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, চালকদের থাকবে পোশাক

সকল