১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে আত্রাইয়ের ৩ জন নিহত

-

সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তিনজন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার সৌদির স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতদের মধ্যে আছেন আত্রাই উপজেলার শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫), দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান (৪০) ও তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০)।
এঘটনার পর থেকে নিহতদের গ্রামের বাড়ি বাড়ি চলছে শোকের মাতম। লোকজন, পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীরা ভিড় করে আছেন বাড়িগুলোতে। গ্রামজুড়েই যেন কান্না আর শোকের রোল পড়ে গেছে। উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুত হোসেন বলেন, তার শ্বশুর কৃষিশ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১ শতক জায়গা বিক্রি করে তার সাথে ধারদেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি। শুকবরের দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামিম হোসেন প্রতিবন্ধী। তার মাথা গোঁজার একমাত্র বাড়ির তিন শতক জায়গা ছাড়া আর কোনো জমি নেই। কিভাবে শাশুড়ি, শ্যালকদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন। শ্বশুর শুকবর আলীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
তেজনন্দি গ্রামের নিহত ফারুকের স্ত্রী-দুই সন্তানকে যেন কেউ থামাতেই পারছেন না। বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টে কাজ করতেন। গত প্রায় ছয় বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরব যান। কিন্তু যাওয়ার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। গত প্রায় আট মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।
শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল গার্মেন্টশ্রমিক ছিলেন। অনেকটা সুখের আসায় ঘর বাঁধতে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধার-দেনা শোধ করে ইটের বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ির কাজ শেষ হলে আগামী বছর নাগাদ দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে সইল না। বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার খবর আসে। তখন থেকেই একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাবা-মা পাথর হয়ে পড়েছেন। কিছুতেই যেন তাদেরকে বুঝ দিয়ে থামানো যাচ্ছে না।
নিহতদের তিন পরিবার থেকেই দ্রুত লাশ দেশে আনতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, সৌদি আরবে আগুনে পুরে তিনজনের নিহতের খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া নিহতদের লাশ দেশে ফেরাতে এবং সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা থাকলে তা সহায়তা করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
রোববার থেকে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি ১১ মাস ধরে সারকারখানায় উৎপাদন বন্ধ, গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ

সকল