০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`
অবৈধ সম্পদ অর্জন

নায়ক শান্ত খান, রাজউক কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

-

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চলচ্চিত্র পরিচালক ও বালু ব্যবসায়ী সেলিম খানের ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খান এবং রাজউক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
গতকাল বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার বাদি হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ চলচ্চিত্র পরিচালক শান্ত খানের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেন।
অপর দিকে গত মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) মো: মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
চিত্রনায়ক শান্ত খানের বিরুদ্ধে নোটিশ পাওয়ার পরও সম্পদবিবরণী দাখিল না করা এবং একই সাথে তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: আকতারুল ইসলাম জানান, মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজধানীর কাকরাইলে, যার মালিক শান্ত খান। দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে গত ২৩ এপ্রিল তার সম্পদবিবরণী চাওয়া হয়েছিল; কিন্তু তিনি সম্পদবিবরণী দাখিল করেননি। সময় চেয়ে আবেদনও করেননি। কমিশনের আদেশ অনুযায়ী সম্পদবিবরণী দাখিল না করে তিনি দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, শান্ত খানের আয়ের চেয়ে অতিরিক্ত সম্পদ বা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় তিন কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকার। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। বাবার নাম সেলিম খান। তিনি চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
এর আগে সেলিম খানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১ আগস্ট ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলার তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
অপর দিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) মো: মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
একটি মামলায় শুধু মোবারককে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে দাখিল করা সম্পদবিবরণী অনুযায়ী, তিনি ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
অপর মামলার প্রধান আসামি সাহানা। স্বামী মোবারক দ্বিতীয় আসামি। মামলার এজাহারে বলা হয়, সাহানা ও মোবারক পরস্পর যোগসাজশে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে এক কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement