১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

স্বাস্থ্য রক্ষায় ১২টি টিপস

-

১. সকালের নাশতা : কেউ ওজন কমাতে চাইলে যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলোর মধ্যে একটি হলো সময়মতো সকালের নাশতা করা। নাশতা না করলে উল্টো ওজন বেড়ে যেতে পারে। একটা স্বাস্থ্যকর নাশতার উদাহরণ হতে পারে : ফল, কর্ন ফ্লেক্স, টোস্ট, ডিম ও দুধ।
২. ঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ : অনেকেই জানেন না কিভাবে ঠিকমতো ব্রাশ করতে হয়। এতে দাঁতের ও মাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেন্সিল ধরার মতো করে টুথব্রাশ ধরুন এবং অন্তত ২ মিনিটের জন্য ব্রাশ করুন। দাঁত, মাড়ি, জিহ্বা সবকিছু ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান।
৩. বিড়ালকে অনুকরণ : সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করুন। এতে ব্লাড সার্কুলেশন তাড়াতাড়ি হবে, পরিপাকতন্ত্র কাজ করা শুরু করবে এবং ব্যাক পেইন কমে যাবে।
৪. ধর্মে মনোযোগ : হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং কাজ মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে।
৫. খাবারে পেঁয়াজ, রসুন রাখুন : পেঁয়াজ, রসুনে আছে সেই সব উপাদান যেগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এরা ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টরল কমায় এবং অনেক রোগের সম্ভাবনাও দূর করে। কেপ টাউনের চাইল্ড হেলথ্ ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী কাঁচা রসুন চাইল্ডহুড ইনফেকশন রোধে ভূমিকা রাখে। তাপে আবার এদের গুণাবলি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাঁচা খাওয়াই ভালো।

৬. হাঁড়ের যত্ন : দুধ বা দই থেকে শরীর প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে। এতে দেহের অস্থি শক্তিশালী হবে। ৩০ বছর বয়সের পরে মানুষের অস্থির ঘনত্ব কমতে থাকে। একদম কম হলেও প্রতিদিন অন্তত ২০০ মিগ্রা. ক্যালসিয়াম দরকার।
৭. পরিমিত মসলাযুক্ত খাবার : ঝাল, মসলাদার খাবার গ্রহণে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন ব্যাথা দূর করে এবং ব্যায়ামের পর ভালো অনুভূতি দান করে। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবারের গ্রহণ পরিমিত সীমার মধ্যে রাখা উচিত।
৮. ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো : টমেটোতে আছে লাইসোপিন, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর শুধু কাঁচা টমেটোই না, রান্না করা টমেটোও অনেক পুষ্টিকর।
৯. ভিটামিন সি গ্রহণ : প্রতিদিন আমাদের অন্তত ৯০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি দরকার। ফ্রেশ ফলমূল আর শাকসবজি খেলে এই চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। কমলা আর পেয়ারা ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হতে পারে।
১০. ফলিক এসিড গ্রহণ : যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এবং গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত ফলিক এসিড গ্রহণ করা উচিত। ফলিক এসিড গর্ভজাত শিশুদের স্পাইনা বিফিডা হওয়া থেকে বাঁচায়। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা আছে। ফলিক এসিড পাওয়া যায় সবুজ শাকসবজি, ফল ও কলিজায়।
১১. থাকতে হবে ভিটামিন-এ : ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন মানব শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন এ এর উল্লেখযোগ্য উৎসগুলো হলো : কলিজা, দুগ্ধজাত পণ্য, সবুজ ও হলুদ শাকসবজি, আম ইত্যাদি।
১২. পর্যাপ্ত পানি পান : ব্যায়ামের সময় কোনোভাবেই সফট্ ড্রিংকস্ বা এনার্জি ড্রিংকস্ খাওয়া উচিত নয়। বরং শরীর হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। জিমের ছোট ছোট এক্সারসাইজ সেশনে এনার্জি ড্রিংকস্ পান করলে শরীর ড্রিংকস্ থেকে পাওয়া গ্লুকোজ আগে বার্ন করবে। অর্থাৎ কষ্টের ব্যায়াম করার পরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement