১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বন বিভাগের ২.৫৭ লাখ একর জমি অবৈধ দখলে

-

- ভেঙে ফেলা হয়েছে ২৫০টি ইটভাটা
- ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান

বন বিভাগের দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর দখলমুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট দখলকৃত ভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান, ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১৫.০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকালের সংসদ অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘একশ’ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আরো পাঁচ হাজার একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বনভূমি অবৈধ দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধারের পর বন বিভাগের আওতায় এনে বনায়ন করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য মো: সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ছয় হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদফতরের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কর্মপরিকল্পনার আওতায় এক শ’ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম পাঁচ শ’টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় গত ২৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মোট ১৫.০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষিজমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমাতে সড়ক ও মহাসড়ক ছাড়া সব সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারকাজে ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতর বা সংস্থাগুলো ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বেস্ট একটি প্রকল্পের বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনাকার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে মাটি বহনকারী ট্রাকের চাপায় দেশের সব রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি আরো জোরদার করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণে সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন, যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাইব্যুনালে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কংগ্রেসে সমালোচকদের সম্মুখীন ব্লিংকেন

সকল