সৌদি আরবের সাথে রাজনৈতিক সংলাপে বিনিয়োগে প্রাধান্য

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দুই দেশের রাজনৈতিক সংলাপে বাংলাদেশে আরো সৌদি বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
গতকাল সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগ, সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তি এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশী জনশক্তি রফতানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলামসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশীর কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশী প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান।
ড. হাছান বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সৌদি আরবের সহযোগিতা চান। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করেন।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ-সৌদি আরব জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিলের (জেবিসি) কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনার ওপর জোর দেয়া হয়।
বৈঠকে গাজাতে ইসরাইলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে দেয়া প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন ড. হাছান মাহমুদ।