০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫
`
হেলথ টিপস

পেটের মেদ কমাতে শাকসবজি

-

পালংশাক : পালংশাক নানা রকম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। পেটের মেদ কমাতে প্রতিদিনের খাবারে পালংশাক যোগ করলে উপকার মেলে। পালংশাকে ক্যালরি কম, আঁশ বেশি। তাই পালংশাক খেলে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকে। ‘অ্যাপেটাইট’ নামের একটি জার্নালের গবেষণা অনুযায়ী, পালংশাকে থাকা থাইলাকয়েড নামের উপাদান ক্ষুধা ও খাওয়ার ইচ্ছা ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়। লাউ : লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম, পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে লাউ ওজন নিয়ন্ত্রণে আদর্শ খাবার। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ে থাকা উচ্চমাত্রার পানি ও আঁশজাতীয় পদার্থ দ্রুত পেট ভরিয়ে ফেলে এবং ক্যালরি গ্রহণের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়।
ফুলকপি : ওজন কমাতে সহায়ক আরেকটি সবজি হলো ফুলকপি। ফুলকপিতে ক্যালরি কম, আঁশ বেশি। তাই ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে আছে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ। এসব যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের মেদ কমায়।
গাজর : গাজর শুধু চোখের জন্যই ভালো নয়, পেটের চর্বি কমাতেও সহায়ক। গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম, আঁশের পরিমাণ বেশি। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। ‘নিউট্রিশন’ নামের জার্নালের গবেষণা থেকে জানা যায়, গাজর বেশি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে।

করলা : তেতো স্বাদের কারণে করলা সবার পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু এই সবজির উপকারিতাগুলো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। করলায় বিদ্যমান যৌগগুলো ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। করলা খেলে রক্তের শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে এবং পেটের মেদ কমে। ‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, করলার নির্যাস ইঁদুরের পেটের মেদ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে। রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতে করলার জুসও খাওয়া যেতে পারে।
শসা : শসা শরীর ও ত্বক সতেজকারক সবজি। এটি শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ায়। পানির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শসা বেশ উপকারী। শসায় ক্যালরির পরিমাণ কম। এটি আপনার শরীর থেকে অনেক দূষিত উপাদান বের করে দিতে সক্ষম। ‘জার্নাল অব হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিকস’-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শসার মতো পানিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ওজন কমাতে সহায়ক। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement