পুরো সাদিক অ্যাগ্রো খামার উচ্ছেদ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের পুরোটাই গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এতে গবাদিপশু রাখার জায়গা না থাকায় সেগুলো তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাভার উপজেলার বলিয়াপুরের খামারে।
গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার ১ নম্বর সড়কে সাদিক অ্যাগ্রোর খামারে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। গত বৃহস্পতিবার অভিযানের প্রথম দিনে যে ভবনে সাদিক অ্যাগ্রোর খামার ছিল তার অংশিক উচ্ছেদ করা হয়। তৃতীয় দিন গতকাল পুরো স্থাপনাই গুঁড়িয়ে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। ডিএনসিসি জানিয়েছে, অভিযানে ৯টি পাকা স্থাপনা, একটি হাউজিংয়ের গেট এবং আশপাশের বেশ কিছু ছোট স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম ও স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের অভিযানে প্রায় ৭০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া রামচন্দ্রপুর খালের ১০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করে খননকাজ চালানো হয় বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ স্থাপনা থেকে গরু, ছাগল ও দুম্বা সরিয়ে নেয় সাদিক অ্যাগ্রো। রাখা হয় পাশের মালিকানা একটি জায়গায়। বিকেল নাগাদ সেসব গরু নেয়া হয় সাভারে। নিজস্ব ট্রাকে বিশাল দেহী গরুগুলো সাভারের উদ্দেশে নেয়া হচ্ছে বলে সাদিক অ্যাগ্রোর কর্মীরা জানান। জানা গেছে, সাভারের বলিয়াপুরে বিশাল আয়তনের খামার রয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোর।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। শুরুতেই ভাঙা পড়ে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামারের একাংশ। একই দিনে নবীনগর হাউজিং এলাকার ৭নং সড়কের মুখে থাকা প্রতিষ্ঠানটির আরও একটি খামার গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও খালে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করে সিটি করপোরেশন। এ দিনও কিছু কাঁচা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই অভিযান চলেছে শনিবার দিনভর।