শরণখোলায় আগুনে পুড়েছে ২০ দোকান ১০ কোটি টাকার ক্ষতি
আহত ১০, তদন্ত কমিটি গঠন- শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
- ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা পাঁচরাস্তা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি দোকান। এ নিয়ে মোট ২০টি দোকানের মালামাল ও অবকাঠামো মিলিয়ে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও স্থানীয় শত শত মানুষ আগুন নেভাতে ছুটে আসেন। তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে আগুন সম্পূর্ণ নিভে যায়।
পোড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মুদি দোকান, মিষ্টির দোকান, ওষুধের ফার্মেসি, ইলেট্্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছিল। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজন শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ দিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে উপজেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
মেসার্স রহমান স্টোরের মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার মুদিদোকানসহ দু’টি গুদাম সম্পূর্ণ পুড়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মেসার্স ইব্রাহিম স্টোরের মালিক মো: ইব্রাহিম ফকির জানান, তার মুদিদোকানের ৮৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার জানান, আগুনে ১১টি দোকান ও মালামাল সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। ৯টি দোকান আংশিক আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাবি আলম জানান, কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় তাদের মারাত্মক সঙ্কটে পড়তে হয়। যে কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট তেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের দফতরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে বরাদ্দ আসবে তা ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা