সরকার ভারত থেকে ট্রয়ের ঘোড়া আনছেন : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:৫২
সরকার ভারতের সাথে রেল চুক্তি করে ট্রয়ের ঘোড়া নিয়ে আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়ার আয়োজন করে ছাত্রদল। রেললাইনের চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে করিডোর দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতকে করিডোর দিয়ে সরকার খাল কেটে কুমির এনেছেন। এসব চুক্তি দেশকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, গ্রিকরা যেমন কাঠের ঘোড়া তৈরি করে তার ভেতরে সৈনিকদের লুকিয়ে রেখে ঘোড়াটা ট্রয় নগরের কাছে রেখেছিল। ট্রয়বাসীরা ঘোড়াটাকে শহরের ভেতরে নিয়ে যায়। রাতে সৈন্যরা ঘোড়ার পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে নগরের দরজা খুলে দেয় এবং গ্রিকরা শহরে প্রবেশ করে তা দখল করে নেয়। সরকারও ভারতের সাথে রেল চুক্তি করে সেরকম ট্রয়ের ঘোড়া নিয়ে আসছেন ।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এখন রাসেল ভাইপার নামের সাপের কথা বলে দেশে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। আমরা যে শেখ হাসিনা সরকারের ভাইপারে আক্রান্ত, সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। দেশের ভূখণ্ডকে অকাতরে দেয়ে দিচ্ছে বর্তমান অবৈধ সরকার। সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। এ সময় রিজভী আরো বলেন, ভারতের সাথে যেসব চুক্তি শেখ হাসিনা করেছেন চুক্তি করার আগে তিনি জনগণের সম্মতি নেননি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে আমরা করিডোর দেবো না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর ভারত এক নয়। তাদের সাথে আমাদের আকাশ পাতাল পার্থক্য। আমাদের সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। তারা আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। অভিন্ন নদীর পানি তারা একচেটিয়া নিয়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে সরকার নাকি বিদ্যুৎ আমদানি করে। দুই দিন হলো তারা বিদ্যুৎ দিচ্ছে না। গ্রামে এখন ১৫-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এ হলো তাদের মনোবৃত্তি।
দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।