কালুরঘাটে রেলের নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঋণচুক্তি আজ
ব্যয় ১৩ হাজার কোটি টাকা- পটিয়া-চন্দনাইশ(চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:৫১
দুই দেশের যৌথ অর্থায়নে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাংলাদেশ রেলওয়ের (রেল কাম সড়ক সেতু) নতুন সেতু প্রকল্পের ঋণচুক্তি চলতি মাসের ২৭ জুনেই হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গতকাল বিকেলে বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-আপারেশন ফান্ডের (ইডিসিপি) সাথে এই প্রকল্প ঋণ চুক্তি হচ্ছে বলে তিনি জানান। আর এই প্রকল্প সহায়তা বা ঋণচুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে হচ্ছে।
বহুল প্রত্যাশিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে সম্ভাব্য ১৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারের রয়েছে সম্ভাব্য ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ও অবশিষ্ট টাকা রয়েছে ঋণসহায়তার।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আলোর পথে কালুরঘাটে রেলওয়ের নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্প আলোর পথে শিরোনামে নয়া দিগন্তে প্রথম সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রকৌশলী ও জয়দেবপুর ইশ্বরদী রেল প্রকল্প ও কালুরঘাটে নির্মিতব্য রেলওয়ের নতুন সেতু প্রকল্পের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন বর্তমানে পুরনো রেলওয়ে সেতুর ৭০ মিটার উজানে নতুন সেতু নির্মাণ হবে। তিনি বলেন, এর পূর্বে বিদেশী ইউসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি রেলকাম সেতু প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন দেয়ার পরেই ওই প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদন মোতাবেক জানা গেছে, বর্তমানে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপরে যে পুরনো সেতু রয়েছে তার ঠিক ৭০ মিটার উজানে এই নতুন প্রস্তাবিত নতুন সেতু নির্মিত হবে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৭০০ মিটার আর এতে নেভিগেশন হাইট বা উচ্চতা হবে ১২.২ মিটার আর এ জন্য দুই প্রান্তে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে ২.৫০ মিটার করে।
সমীক্ষা অনুযায়ী নতুন সেতুর হচ্ছে ৭০ ফুট। এর মধ্যে ৫০ ফুটে হবে ডবল গেজ ও মিটার গেজ (এমজি ও বিজি) ডবল ট্র্যাক। ২০ ফুটের মধ্যে দুই লেনের সড়ক পথ তৈরি করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, এই রেলপথ যোগাযোগ ও দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তা ছাড়া কক্সবাজারে গড়ে উঠছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। ওই বন্দর দিয়ে প্রতি বছর দেশী-বিদেশী লাখ লাখ মেট্রিক টন ভারী মালামাল ওঠানামা করবে। আবার ওই সমস্ত মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো হবে এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মেট্রিক টন মালামাল বন্দরে পৌঁছানো হবে। তা ছাড়া মহাসড়কের ট্রাফিক ভলিউম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করেই কক্সবাজার চট্টগ্রাম রেলপথকে ডুয়েল গেজ (মিটার গেজ ও ব্রডগেজ) করে তৈরি করা হয়েছে। আর যেহেতু পুরনো সেতুটি মিটার গেজ উপযোগী সে সেজন্য সঙ্গত কারণেই নতুন সেতু নির্মাণ যুক্তিসঙ্গত কারণেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা