৮ কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
বেনজীরের পাসপোর্ট জালিয়াতি- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৭
পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম ও তার দলের সদস্যরা পাসপোর্টের এসব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এসব বিষয়ে দুদক কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার আগেই পাসপোর্ট অফিসের আট কর্মকর্তা দুদকে হাজির হন। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপ-পরিচালক ও দু’জন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন। তারা হলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইদুর রহমান, মুনসী মুয়ীদ ইকরাম, আবু নাঈম মাসুম, সুভাস চন্দ্র রায়, আজিজুল হক, মহসিন ইসলাম ও মোতালেব হোসেন।
সাবেক এই আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন। তিনি তার পুলিশ পরিচয়ের পাসপোর্টে আড়াল করেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট। এমনকি বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে নবায়ন কার্যক্রম আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদফতর। সে সময় তিনি র্যাবের মহাপরিচালক থাকায় চিঠি দেয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। তবে, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এসব ম্যানেজ করেন বেনজীর। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েই নেন বিশেষ সুবিধা।
সূত্র জানায়, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহান রিসতা বিনতে বেনজীর ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে ই০০১৭৬১৬, এএ১০৭৩২৫২, বিসি০১১১০৭০, বিএম০৮২৮১৪১ এবং ৮০০০০২০৯৫ নাম্বারের পাসপোর্ট ইস্যুকরণ সংক্রান্ত আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ থেকে পাসপোর্ট বিতরণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উচ্চমান সহকারীদের বক্তব্য নেয়া ও শোনা জরুরি।
এ দিকে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলতে রাজি হননি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাদের কাছে বেনজীরের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব না দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।