সাকলায়েনকে নিয়ে যা বললেন পরীমণি গুরুতর অভিযোগ পিয়ার
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৫
সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে নায়িকা পরীমণির। অন্য দিকে গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আরেক মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। পরীমণি গণমাধ্যমে এবং পিয়া তার ফেসবুক স্টাটাসে তাদের অভিযোগ-অনুভূতি তুলে ধরেন।
চিত্রনায়িকার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে চাকরি হারাতে চলেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পিএসসির কাছে সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে সাকলায়েনের চাকরি হারানো প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন পরীমণি। যদিও এ বিষয়ে কথা বলতে এক রকম নারাজ ছিলেন এই চিত্রনায়িকা। তার কথায়, ‘বিষয়টি যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে আসে, তখন আমি কথা বলব। এখনো মনে হয় না আমার কোনো কথা বলার দরকার আছে। তবে সাকলায়েনের সাথে পরীমণির কী সম্পর্ক, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি এই নায়িকা। পরীর কথায়, আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি, তাই আমি এটা (এই সম্পর্ক) নিয়েও কথা বলব না।
এ সময় সাকলায়েনের পক্ষে দাঁড়িয়ে পরীমণি বলেন, সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার। প্রেম-ভালোবাসা যাই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।
সাকলায়েনের চাকরি হারানো প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে। এর আগে সামাজিকমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এসব সমসাময়িক আলোচনাকে আরো চাউর করে দেন পরীমণি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেয়া ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে চিত্রনায়িকা লেখেন, ‘বাই বাই রাসেলস ভাইপার।’ তবে কাকে ‘রাসেলস ভাইপার’ বলে বিদায় জানালেন নায়িকা, তা অবশ্য তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি। যদিও পরীমণি ওই ফেসবুক পোস্টের মন্তব্য ঘর বন্ধ রাখেন। তবে নেটিজেনরা ধারণা করছেন, তার এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে চলমান ইস্যুকে ইঙ্গিত করেই দেয়া হয়েছে।
অন্য দিকে সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। গতকাল দুপুরে ফেসবুক পোস্টে পিয়া জান্নাতুল লেখেন, এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় যিনি ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি আর আম্মা প্রতিদিনই আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম। যিনি প্রতারণামূলকভাবে এবং জোরপূর্বক সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দীর জন্য জোরপূর্বক আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
পিয়া আরো লেখেন, আমি আব্বাকে সম্মতি না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম, কারণ তিনি এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে পৌঁছার আগেই তিনি (সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে পরদিন আদালতে জমা দেন। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। অথচ তার জানা ছিল না, আমি চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পিয়া আরো লেখেন, যেদিন তিনি এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেফতার করেছিলেন, আব্বা তখন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন আব্বার বয়স ছিল ৭৭ বছরের বেশি!
সাকলায়েন সম্পর্কে পিয়া বলেন, আমার দেখা মতে, সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষè, প্রতিভাবান এবং ধূর্ত। কিন্তু একটা ভুল তার সবকিছু তছনছ করে দিলো! যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাদের ক্ষমা করে দিই, কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান সব সময় রয়েছেন সঠিক বিচার করার জন্য।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা