দেশের ৩.৫ লাখ মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন ৭ লাখ
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৫
দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। আর এসব মসজিদে মোট প্রায় সাত লাখ ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান। তিনি জানান, বর্তমানে সারা দেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো: নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান আরো জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদের মধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একই সাথে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে প্রদান করা হবে।
ধর্মমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারা দেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরতদের প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে সম্মানী প্রদান করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণকে পর্যায়ক্রমে সম্মানির আওতায় আনা হবে ইনশা আল্লাহ। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ন্যূনতম সাড়ে পাঁচ হাজার জনকে চার হাজার টাকা হারে মোট দুই কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার-এই তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করে সর্বমোট এক কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ট্রাস্টের আয় বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটাবেইজ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
শিডিউল বিপর্যয়ে হজযাত্রীরা হয়রানির শিকার হননি
গত ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সাল- এই তিন বছরে এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজযাত্রীরা কোনো ধরনের হয়রানির স্বীকার হননি বলে সংসদকে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মোহা: আসাদুজ্জামান আসাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ থেকে কোনো হজযাত্রী সৌদি আরব যাননি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এয়ারলাইন্সগুলো শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হননি হজযাত্রীরা। তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আলোচনা করে শিডিউল নির্ধারণ করা হবে।
এইচ এম বদিউজ্জামানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে সপ্তম পর্যায় প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ইমামদের মাসিক সম্মানী পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হয়। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পকে বিস্তৃত করে ইমামদের প্রতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাসসহ নিশ্চয়তার সাথে দেয়া হয়। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা