এক্সিট ভিসা নেয়া ১৩ প্রবাসী বাংলাদেশীকে সৌদি ছাড়ার অনুরোধ দূতাবাসের
- মনির হোসেন
- ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
এক্সিট ভিসা গ্রহণকারী ১৩ প্রবাসী বাংলাদেশীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও সাড়া মিলছে না। এসব প্রবাসীকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে সৌদি আরব ত্যাগের জন্য রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নতুবা তারা আইনি জটিলতায় পড়বেন। ইতিমধ্যে এক্সিট ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী দুজনের এক্সপেয়ার ডেট অতিক্রম হয়ে গেছে।
সম্প্রতি এম্বেসি অফ বাংলাদেশ রিয়াদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৩ প্রবাসী বাংলাদেশী তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস লেবার অফিস ও ডিপোর্টেশন সেন্টারের মাধ্যমে ফলোআপ করার এক্সিট ভিসা গ্রহণ করে। আবেদনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তালিকায় থাকা এসব প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে অবশ্যই সৌদি আরব ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় তাদের জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
দূতাবাস থেকে যে ১৩ প্রবাসী বাংলাদেশীকে সৌদি আরব ছাড়ার কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্য শুক্কুর আলী ও হাবিবুর রহমানের ইকামার মেয়াদ ২৯/৩০ মে, ২০২৪ তারিখে শেষ হয়ে গেছে। বাকি ১১ জনের এক্সিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবে জুন এবং জুলাই মাসের ১৭ তারিখে।
এদিকে এক্সিট ভিসা সম্পর্কে দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা মন্তব্য করছেন সৌদি আরব প্রবাসীরা। জুয়েল রানা নামের এক প্রবাসী মন্তব্য করেন, ৭ মাসের উপরে হলো এখনো কোনো ম্যাসেজ আসেনি। এ দুর্গতি কবে শেষ হবে তা আল্লাহ ভালো জানেন।
মো: ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাকে কত দিনের জন্য সৌদি আরব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এটা বুঝার উপায় কী? নাঈম ইবনে ইউসুফ আক্ষেপ করে বলেন, কিছু মানুষ দেশে যাওয়ার জন্য কান্না করে, আর কিছু মানুষ সুযোগ পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করছে।
রাজু আহমেদ নামের একজন মন্তব্য করেন, স্যার আমার খালু ৭/৮ দিন আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আকামার মেয়াদ না থাকার কারণে। এখন কোথায় আছে আমরা কিছু জানতে পারছি না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ এম্বেসি কি কোনোভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পারবে? তাকে যদি এক্সিট ভিসায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে তিনি আবার নতুন ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে আসতে পারতেন। তবে এসব মন্তব্যর বিপরীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেয়া হয়নি।