স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়
বৃষ্টিতে ভোগান্তি- আবু সালেহ আকন
- ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
১৬ জুন রোববার থেকে ঈদুল আজহার তিন দিনের সরকারি ছুটি। আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এই পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই গতকাল বৃহস্পতিবারই রাজধানী ছেড়েছেন। যে কারণে রাজধানীর বাস ও ট্রেন স্টেশন এবং সদরঘাট টার্মিনালে ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রাপথের বিড়ম্বনার সাথে বিকেলের বৃষ্টিতে ঘরমুখো এই মানুষগুলো পড়েন চরম বিপাকে। ছোট ছোট শিশু ও নারীদের নিয়ে অনেক মানুষকে গতকাল বিকেলে রাস্তায় ভিজতে দেখা যায়। এদিকে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি না করার নির্দেশ থাকলেও কোনো পরিবহনই এই নির্দেশ মানছে না। ঈদুল ফিতরেও এভাবে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভাড়া বাড়ালেও কোনো অ্যাকশন হয়নি। যে কারণে এবারো পরিবহনের লোকজন তাদের ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে।
গতকাল অফিস আদালত খোলা থাকলেও অনেকে একদিনের ছুটি নিয়ে সকালেই পরিবহন টার্মিনালের দিকে রওনা দেন। আবার যারা অফিস করেছেন তারা স্ত্রী-সন্তানদের টার্মিনালের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে অনেকে অফিসে হাজিরা দিয়েই টার্মিনালে ছুটে যান। যে কারণে সকাল থেকে বাস ও ট্রেন স্টেশনে ভিড় ছিল। দুপুরের পর থেকে এই ভিড় আরো বাড়তে থাকে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দুপুরের পর থেকেই উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের উপস্থিতিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না টার্মিনালে। সদরঘাটে গতকাল লঞ্চও ছিল পর্যাপ্ত। ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ মালিকরা বাড়তি লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনি যাত্রীর অভাবে যে লঞ্চ বন্ধ থাকে তাও ঈদ উপলক্ষে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন মালিক সূত্র।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত মানুষ স্বাচ্ছন্দেই যাতায়াত করেছেন। সড়ক মহাসড়কে কোনো ভিড় ছিল না। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিল তীব্র যানজট। এই যানজটেই অনেকে নাজেহাল হয়েছেন। মহাসড়কের কোথাও কোথাও পশুবাহী যানবাহনের কারণে যাত্রীবাহী যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও ঘরমুখো মানুষের তীব্র ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। গতকাল পর্যন্ত টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীদের যানবাহন পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই গাড়ি ছাড়ার খবর পাওয়া গেছে।
তবে গতকালের বিকেলের বৃষ্টিতে মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। টার্মিনালে যেতে অনেকে ভিজে একাকার হয়েছেন। সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, যাত্রাবাড়ি গিয়ে যখন মাদারীপুরগামী বাসে চড়েন তখন তার শরীরে কোনো অংশ শুকনা ছিল না। সাথে থাকা ব্যাগের কাপড়চোপড়ও ভিজে গেছে। যে কারণে শরীরের ভিজা জামাকাপড় পরিবর্তন করারও কোনো সুযোগ ছিল না। গতকাল বিকেলের দিকে দেখা যায় অসংখ্য ঘরমুখো মানুষ রিকশার মধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভিজতে ভিজতে টার্মিনালের দিকে যাচ্ছেন। আবার কেই বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে কোথাও আশ্রয় নিয়েছেন।
ভাড়ার নৈরাজ্য রয়েই গেছে। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিরে কড়া নিষেধাজ্ঞার পরও পরিবহন মালিক শ্রমিকরা তা কানে নিচ্ছে না। তারা তাদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। যাত্রাবাড়ি থেকে বরিশালের ভাড়া ভাড়া ৪ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা। গতকাল থেকে সেই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৯০০ টাকা। পরিবহন সেক্টরের এই নৈরাজ্যের কাছে সাধারণ যাত্রীরা বরাবরের মতোই অসহায়।
রেলস্টেশনেও গতকাল ছিল উপচে পড়া ভিড়। বেশির ভাগ ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হলেও তাতে মানুষ বিরক্ত হয়নি। ট্রেনগুলোতে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে অসংখ্য যাত্রীকে। গতকাল বিকেলে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে বলেন, সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে ঈদুল আজহার যাত্রা এবারো ভালো করতে চাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা