১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

দূর করুন পেটের মেদ

-

শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে সবার আগে মেদ জমে। পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে। পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের কিছু অভ্যাস মেনে চললে পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এমন সাতটি অভ্যাস হলো-
১। এক গ্লাস পানি পানে দিন শুরু : ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো দিনভর হাইড্রেটেড থাকা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করলে তা সারা দিন এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে চিয়া সিড সারা রাত ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন, অথবা আজওয়া ভিজিয়ে রেখে সেটিও পান করতে পারেন। এ ছাড়াও হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সেটিও পেটের মেদ কমাতে উপকারে আসবে। এগুলো কেবল শরীরকে হাইড্রেট করে না, বরং হজমেও সহায়তা করে। তবে আপনার এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবুপানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
২। মেডিটেশন : দিনের শুরুতে ১০ মিনিট মেডিটেশনে ব্যয় করুন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন বেশ কার্যকর। স্ট্রেস ওজন বিশেষ করে পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন স্ট্রেস হ্রাস কমাবে এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে।
৩। নাশতায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : কথিত আছে, সকালের নাশতা রাজার মতো করতে হয়। সত্যিই তাই। আমাদের দিনভর এনার্জেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাশতা তো করতেই হবে। সকালের নাশতার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বারবার খাবার খাওয়ার ক্রেভিং হবে না , আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম, দই বা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সকালের নাশতার তালিকায় রাখতে পারেন।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম : ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা। মর্নিং ওয়াক, জগিং, ইয়োগা অথবা এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট করুন। দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরকে অ্যাকটিভ করে তারপর ব্যায়াম করুন। এটি দ্রুত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য রাখুন।
৫। মিল প্ল্যানিং করুন সকালেই : সারা দিন কী কী খাবেন তার একটা প্ল্যান সকালেই করে ফেলুন। সকালের এই প্ল্যানিং আপনার সারা দিনের জাংক ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়াকে কন্ট্রোল করবে।
৬। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার : সকালের নাশতাটা প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার দিয়ে করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই ফাইবার আছে এমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি বেছে নিন।
৭। পর্যাপ্ত ঘুম : শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ইমব্যালেন্স করে দেয়, খাবারের রুচি বাড়ায় এবং পেটে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। কম ঘুম স্ট্রেসও বাড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও পেটে মেদ জমে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভালো ঘুম সারা দিন কাজের শক্তি জোগানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।
সকালের এই কাজগুলোর পাশাপাশি কিছু খাবার খেতে পারেন মেদ কমানোর জন্য। যেগুলো পেটে মেদ কমাতে সাহায্য করে। এমন কিছু খাবার হচ্ছে-
১। ডিম : প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ডিম পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
২। কফি : কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে ব্ল্যাক কফি বা চিনি ছাড়া কফি মেদ কমাতে বেশি কার্যকর।
৩। গ্রিন টি : ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি বেশ জনপ্রিয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি মেটাবলিজম ইম্প্রুভ করে এবং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, পেটের জমে থাকা মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement