১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
কলেজে ভর্তির আবেদন

খাতা চ্যালেঞ্জ : শিক্ষার্থীদের ফল স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে

-

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করা শিক্ষার্থীদের পরিবর্তিত ফলাফল কলেজে ভর্তির আবেদনে সয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে অনলাইনে কলেজে কলেজে ভর্তির আবেদনের সময়। যদিও আবেদন প্রক্রিয়ায় কারিগরি কিছু ত্রুটির কারণে এর আগেই দু’দিন সময় বাড়ানো হয়েছিল।
এদিকে শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানিয়েছে, যাদের ফল পরিবর্তিত হয়েছে তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। অবশ্য যেসব শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করতে হয়েছে। এবার খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করেছেন এক হাজার ১১০ জন ।
অন্যদিকে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করে ৮ হাজার ৮৭৫ জন পরীক্ষার্থীর ফলে পরিবর্তন এসেছে। নিয়ম অনুযায়ী, ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন করে কলেজ ভর্তিতে আবেদন করতে হয়। কিন্তু এবার কলেজ ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন এখনো চলমান থাকায় এসব শিক্ষার্থীর নতুন করে আবেদন করতে হবে না। অটোমেটিক তাদের পরিবর্তিত ফল ভর্তি পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর যারা ফেল থেকে নতুন করে পাস করেছেন তারা গতকালের মধ্যে আবেদন করতে পেরেছেন। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবার একাদশ শ্রেণীর ভর্তিসংক্রান্ত পোর্টালে জানানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, কলেজ ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন যেহেতু চলমান তাই পুনর্নিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। আর যেসব শিক্ষার্থী আগের গ্রেডে বা নম্বরের কারণে কাঙ্ক্ষিত কলেজ আবেদন করতে পারেননি, কিন্তু পুনর্নিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হয়েছে এখন তারা কাক্সিক্ষত কলেজে আবেদন করতে পেরেছেন।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী আগে ফেল করেছিলেন কিন্তু খাতা চ্যালেঞ্জ করে পাস করেছেন তারা আবেদন করতে পেরেছেন। আর যেসব শিক্ষার্থী আগে পাস করে কলেজে ভর্তির আবেদন করেছিলেন কিন্তু পুনর্নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হয়েছে তারা তাদের আবেদন এডিট করে ফল পরিবর্তন করতে পেরেছেন। আর আগে পাস করা শিক্ষার্থী যারা আবেদন করেননি কিন্তু ফল পরিবর্তন হয়েছে তারাও নতুন করে আবেদন করতে পেরেছেন।
শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ টাকা। এ আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দেয়া গেছে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement