১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাতিরাও ভালোবাসতে জানে

-

ঘটনাটি ২০১২ সালের ১০ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার। দেশটির কোয়াজুলুতে অবস্থানরত অ্যান্থনি পরিবারের প্রধান লরেন্স অ্যান্থনি তার তিন দিন আগে মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাকে। ফলে পুরো পরিবারে শোক তখনো কুয়াশার মতো চাদর বিছিয়ে রয়ে গেছে। এ রকম সময়ে সবাই খেয়াল করল, বন্য হাতির দুটো দল সারিবদ্ধভাবে আসছে লরেন্সের বাড়ির দিকেই। ছেলে ডিলান অ্যান্থনি তখন বাইরে বের হয়ে এসে দেখতে পান সেগুলো তার বাবার হাতে বড় হওয়া হাতি। লরেন্সের মৃত্যুতে শোক জানানোর জন্য প্রায় ১২ মাইল দূরের জুলুল্যান্ডের বন থেকে এসেছে হাতিগুলো।
এরপর দুই দিন ধরে হাতিগুলো বাড়ির সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল, লরেন্স অ্যান্থনিকে স্মরণ করে।
১৯৯৯ সালের কথা, এই বন্য হাতিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেখানকার প্রশাসন ওদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন লরেন্স। নিজে দায়িত্ব নিয়ে হাতির পালগুলোকে দেখাশোনা করতে থাকেন। যতœআত্তি করে বড় করতে থাকেন। এসব করতে গিয়ে হাতিদের সাথে তার নিবিড় এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তিনি যেমন হাতিদের বুঝতেন, হাতিরাও বুঝত তার কথা, ইশারা। পশু আর মানুষের সেই প্রাচীন বন্ধুত্ব! হাতির সাথে বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে বইও লিখেছেন লরেন্স অ্যান্থনি। বানাতে চেয়েছিলেন ডকুমেন্টারিও। মৃত্যু সে সুযোগ দেয়নি তাকে।
ওদিকে বন্ধুর মৃত্যু টের পেয়ে শোক জানাতে হাতিরা ছুটে এসেছিল দলবেঁধে। কিন্তু তারা কীভাবে এই খবর জানল, সেটা এক রহস্য! আরো অদ্ভুত ব্যাপার হলো, প্রতিবছর মার্চের ৭ তারিখ লরেন্সের মৃত্যুবার্ষিকীতে হাতিগুলো এসে উপস্থিত হয় ওই বাড়িতে। এটাকেও রহস্যময় মনে হচ্ছে? আসলে এটাই হচ্ছে বন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement