ঢাকায় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ জুন ২০২৪, ০১:৪৫
ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে বলে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএসআরএফ সংলাপ’-এ তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে ২০ শতাংশ ভবন ধস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী জানান, এ জন্য ভয়ের কারণ নেই। কারণ এমন পরিস্থিতি বহু দেশে আসছে। যেমন তুরস্কে ভূমিকম্প হয় কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছে। যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সে জন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে পুরো জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
আট মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার যে তথ্য দিয়েছেন, সেটা কিসের ভিত্তিতে বলেছেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গতকাল একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতিকে একত্র করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেবো। আমি আজকের মধ্যে সারাদেশের সব মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষতিটা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ রেডি করে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেবো। আমি প্রায় ৯০ শতাংশ পরিসংখ্যান পেয়ে গেছি। আজকে বাকিটা পেয়ে যাবো। ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যানটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেবো, যাতে তিনি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাতে কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে করতে পারেন।
৯০ শতাংশ ক্ষতি টাকার অঙ্কে কত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল পর্যন্ত আমি দেখলাম যে আমার কাছে সাত হাজার কোটি টাকার পরিসংখ্যান এসেছে। এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। উপকূলীয় মৎস্যসম্পদেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘেরগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা