বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবী নেতাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বললেন আপিল বিভাগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ জুন ২০২৪, ০১:৪৪
আপিল বিভাগের দু’জন বিচারপতির পদত্যাগে আলটিমেটাম দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়টির শুনানিতে মৌখিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
তখন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এগুলো তো হৃদয়ের কথা বললেন। এটাই লিখিতভাবে দিন।
এ দিন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, সাত আইনজীবীর মধ্যে একজন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যরা এখানে উপস্থিত আছেন। এরা সবাই আদালতের সম্মান ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ছাড়া আইনজীবী (বার) ও আদালতের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক হোক তা আমরা চাই না। কারণ দিন শেষে আমরা এই আদালতে এসেই দাঁড়াই। তাই আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যে কথাগুলো বললেন, তা তো আপনাদের হৃদয়ের কথা। কিন্তু আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে কি কোনো লিখিত জবাব দিয়েছেন? তখন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, মাই লর্ড লিখিত দেয়া হয়নি। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল। আপনারা আপনাদের হৃদয়ের কথা যা বললেন, তাই লিখিত আকারে দিন। তখন আমরা বিষয়টি দেখব।
একপর্যায়ে আপিল বিভাগ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এই মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দু’জন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে তলব করেন আপিল বিভাগ। গত ১৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে (১ নম্বর কোর্টে) তাদের হাজির হতে বলা হয়।
বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবী হলেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
গত ২৯ আগস্ট আইনজীবী মো: নাজমুল হুদা বিএনপিপন্থী এই সাতজন আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন। এই আবেদনের পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী।