নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় আমরা সহযোগিতা বাড়াতে চাই : ইইউ রাষ্ট্রদূত
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ১১ জুন ২০২৪, ০০:১৪
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চালর্স হোয়াটলি বলেছেন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে আমরা সহযোগিতা আরো বাড়াতে চাই। এই ক্ষেত্রে আমরা একে-অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলামী চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি মোকাবেলা করে যাচ্ছে। আট বছর আগে গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে কী হয়েছিল, আমরা সবাই জানি। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ কী করেছিল, আমরা দেখেছি। বিশ্বের অনেক দেশই এখন এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘ডিকাব টক’ নামে পরিচিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ডিকাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
হোয়াইলি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপত্তা নিয়ে ছোট করে হলেও বাংলাদেশে প্রকল্প হাতে নিতে পরে আমরা আনন্দিত। এটি গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে একসাথে করবে। প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ ও ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর ইউরোপে এখন বেশ জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। শান্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর জাতিসঙ্ঘের পাশাপাশি ইউরোপেও জোরালো হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে হোয়াইলি বলেন, আগামী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো কী ভাবছে তা জানা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্য ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি। একটি কঠিন সময় পার করে বাংলাদেশের সাথে ইইউর বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি দেখে আমি আনন্দিত। রফতানি পণ্যের বৈচিত্রকরণের জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। বিশেষ করে চামড়া শিল্পে ইইউ বিনিয়োগ করছে। স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের পর ইইউর বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি করছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইলি বলেন, গাজায় সঙ্ঘাতের ইতি চায় ইইউ। যেখানেই মানবতার লঙ্ঘন হয়, সেখানেই আমরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করি। ফিলিস্তিনের হামাসকে আমরা সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করলেও পিএলওর সাথে কাজ করছি। সেখানে আমরা মানবিক সহায়তা দিচ্ছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রশংসনীয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে, এ সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দেবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা