১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
রাজপথে মৃত্যুর হানা

খুলনা ও ঠাকুরগাঁওয়ে নিহত ৩

-

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন এবং ঠাকুরগাঁওয়ে এক ট্রাক্টর চালক নিজের গাড়ির ইঞ্জিনে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে মেছাঘোনা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেট কারটি একটি পিকআপকে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের চালকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়। এ সময় রাস্তার দুই পাশে প্রাইভেট কার ও বাসটি ছিটকে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্সী পারভেজ হাসান জানান, বেলা আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাসের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়।
বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় ফারুক হোসেন (২৫) নামে এক ট্রাক্টর ড্রাইভার ইটভর্তি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় নিজের গাড়ির ইঞ্জিনে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার লাকসাম পাড়া এলাকায় ইট নিয়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন ওই ড্রাইভার। ফারুক হোসেন উপজেলার কাদিহাট গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে ট্রাক্টর ড্রাইভার ফারুক মহারাজা একতা ইটভাটা থেকে ইট নিয়ে যাওয়ার সময় লাকসাম পাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি কাঁচা রাস্তায় ট্রাক্টরটির একটি চাকা ডুবে যায়। ড্রাইভার গাড়িটিকে গর্ত থেকে তোলার জন্য গিয়ারআপ করতে গেলে সামনের ইঞ্জিনটি উপরে উঠে যায় এবং ড্রাইভার ফারুক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইঞ্জিনের নিচে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে পাশ্ববর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রানীশংকৈল থানা ওসি জয়ন্ত কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement