‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেকসই ট্যুরিজম অপরিহার্য’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৫৮
বায়ুমণ্ডলীয় দূূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মার্কেটিং ডিসিপ্লিনের যৌথ আয়োজনে ‘টেকসই স্মার্ট পর্যটন গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য টেকসই ট্যুরিজম অপরিহার্য মন্তব্য করে বক্তারা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প হবে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম হাতিয়ার। গতকাল স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক মো: রবিউল কবিরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান সামিনা হক এবং সমাপনী বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মাহমুদা পারভীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, পর্যটন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল, অতি বৈচিত্র্যময় এবং শ্রমঘন একটি শিল্প, যা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পর্যটন শিল্পের সংযোজন শুধু আর্থিক সফলতা বয়ে আনবে না, সেই সাথে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে এর সুফল ছড়িয়ে দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এডভেঞ্চার ট্যুরিজম একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ, ট্যুরিজম বিহেভিয়ারের জায়গায় কাজ করতে হবে। পিপিপির মাধ্যমে একটি টেকসই ট্যুরিজম নিশ্চিত করা যেতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে ক্যাপস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের যাত্রা অনেক আগে শুরু হলেও নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আজকে আশার আলো ছড়াচ্ছে। অপার সম্ভাবনাময় আমাদের এই বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার একটি আদর্শ পর্যটন এলাকা, যা শুধু অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করবে না, পাশাপাশি বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমর্যাদাকে তুলে ধরবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআইর উপসচিব এবং জাতীয় পোর্টাল বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ মো: শামসুজ্জামান, শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: তারিকুল ইসলাম, সেইভ আওয়ার সির সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের এডিশনাল ডাইরেক্টর মো: বোরহান উদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফসানা পারভিন শহীদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুদ্দীন মো: নুর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশের মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাবিব মোহাম্মদ আলী, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মায়ুন কবির, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) সায়েন্টিফিক অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো: নাছির আহমেদ পাটোয়ারী প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা