ল্যাপটপের উপর মূসক প্রত্যাহারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৫৭
২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের উপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্যও দাবি জানিয়েছে বিসিএস। স্মার্ট বাংলাদেশ ্িবনির্মাণে হার্ডওয়ার সার্ভিস খাতকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবাতে অন্তর্ভ্ক্তুকরণ, প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানির উপর মূসক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জাতীয় সংগঠন বিসিএস।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উপস্থাপন করেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।
তিনি বলেন, ল্যাপটপ আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনার ফলে আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে ল্যাপটপ কেনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে ল্যাপটপের এই মূল্য হ্রাসের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
ল্যাপটপের ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিসিএস সভাপতি বলেন, ল্যাপটপ এখন বিলাসী কোনো পণ্য নয়। সরকারের ৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে আউটসোর্সিং যারা করছেন তাদের প্রধান হাতিয়ার ল্যাপটপ। এ ছাড়াও শিক্ষা উপকরণ হিসেবেও ল্যাপটপ স্বীকৃত। প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের উপর মূসক প্রত্যাহার করা হলেও আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ল্যাপটপের মূল্য আংশিক কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা ক্রয়সীমাকে ছাড়িয়ে যাবে। ল্যাপটপের উপর এই অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্তরায় বলে আমরা মনে করি। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটারের উপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে বিবেচনায় নিয়ে এর আমদানি শুল্ক পূর্বের ন্যায় ৫ শতাংশ বহাল রাখা হোক।
ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, হার্ডওয়ার ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সম্প্রতি রোবটিকস এবং এআই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবার অন্তর্ভুক্ত হলেও হার্ডওয়্যার সার্ভিস উপেক্ষিত রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যার সার্ভিসকেও অন্তর্ভুক্তিকরণ অত্যন্ত জরুরি।
অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১% আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করারও দাবি জানায় বিসিএস। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সহ-সভাপতি মো: রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান ও এইচ এম শাহ নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।