১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাজেটে ভ্রমণ খরচ বাড়ছে

-

প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্রমণে খরচ বাড়ছে। কারণ এতে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্ক সেবার ক্ষেত্রে কর বাড়ানো ও ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ খরচ বাড়ছে। এ প্রস্তাব পাস হলে দেশের যেকোনো অ্যামিউজমেন্ট পার্কে বেড়াতে গেলে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। কোনো ট্যুর অপারেটরের সেবা নিয়ে দেশ কিংবা বিদেশে কোনো প্যাকেজ ট্যুর করতে গেলেও বাড়ছে খরচ।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও থিম পার্ক সেবার ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূসক হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার প্রস্তাব করা হয়।
এ দিকে বাজেটে এমন প্রস্তাবে পর্যটন খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটররা। তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আসা এমনিতেই কমছে তার মধ্যে এই কর আরোপ পর্যটকদের বাংলাদেশ আসা নিরুৎসাহিত করবে। ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েসন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সাবেক পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল ইসলাম (বুলু) বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের জন্য হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পরিবহন কোম্পানিগুলোর সেবা কিনি। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেরা আলাদাভাবে ভ্যাট দিচ্ছে। এখন আমাদেরও যদি ভ্যাট দিতে হয়, তা হলে কেমনে সামাল দেবো?’
ভ্যাটের কারণে বিদেশী পর্যটক আরো কমবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে থাকা-খাওয়ার খরচ অনেক বেশি। এবার ভ্যাটের কারণে এই খরচ আরো বাড়বে, যা পর্যটকদের এ দেশে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।’
গত বছর সাড়ে ছয় লাখ বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশে আসেন। ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় যা অনেক কম।
এ দিকে পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে রংপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পারকি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা ২৫ বছর মেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। মহাপরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান হবে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি এবং দেশী-বিদেশী জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে দেশে ইকো-ট্যুরিজম, হেরিটেজ ট্যুরিজম এবং বিজনেস ও মাইস (এমআইসিই) ট্যুরিজম বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এসব ট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য টাঙ্গুয়ার হাওর, নিঝুম দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলায় ও পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহারে পর্যটক সুবিধা এবং পদ্মা ব্রিজের মাওয়া প্রান্তে ট্যুরিজম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement