কৃষিতে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে (কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে সার্বিক কৃষি খাতে ২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ হয়েছে। গত বছর জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫.৭৪ শতাংশ। এবার ৫.৯৪ শতাংশ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের মতোই কৃষি খাতের বেশির ভাগই টাকা ব্যয় হবে সারের ভর্তুকিতে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণেও উৎসাহিত করা হয়েছে।
গতকাল অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে কৃষি খাতে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
এ বিষয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে এবার জাতীয় বাজেট ৪.৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। কৃষিতে বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে ৮.৩ শতাংশ হারে। যদিও বলা যায় আক্ষরিক অর্থে কৃষিতে বাজেট বেড়েছে, কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় যে পরিমাণ বাজেট বাড়ানো দরকার ছিল তা বাড়েনি। বলতে হয়, কৃষি খাতে বাজেট অপর্যাপ্ত। বিশেষ করে আগের চেয়ে ভর্তুকি খাতে বাজেট কম ধরা হয়েছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিভিন্ন প্রকার ফসলের উন্নত এবং জলবায়ুসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ, সুলভমূল্যে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে এবং তা অদূর ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সারে ভর্তুকি প্রদানের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সমগ্র বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের প্রায় ১ কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খাদ্যের অপচয় রোধেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা ২১.৮৬ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে এবং আগামী অর্থবছরে তা ২৯ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থানে রয়েছে। ইলিশ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১ম। জেলেদের সুরক্ষায় তাদের কর্মহীন সময়ে খাদ্যসহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রাণিচিকিৎসা সেবা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা