১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইমামরা মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন : ধর্মমন্ত্রী

-


ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান বলেছেন, ইমামরা হলেন সমাজের চেঞ্জ এজেন্ট। মানুষকে সঠিক পথের নির্দেশনা দেয়া এবং খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইমামরা অনুঘটক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ইফার মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর আবুল কালাম আজাদ, ধর্মসচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী ও সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো: আবদুর রশিদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, একজন ইমাম যদি প্রকৃত অর্থেই ইমাম হয়ে উঠতে পারেন তা হলে তিনি সমাজকে বদলে ফেলতে পারেন। সমাজের সব অসঙ্গতি, অনাচার, পাপপঙ্কিলতা থেকে মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন। একটি সমাজকে আদর্শ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। দেশ ও জাতির সামগ্রিক কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন। একটি সমাজের সকল ইতিবাচক পরিবর্তনে ইমামরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
মো: ফরিদুল হক খান বলেন, ইসলাম ধর্মের ব্যাপ্তি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সর্বত্র। একজন মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে তার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা রয়েছে। একজন ইমাম যেমনিভাবে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত সম্পর্কে আলোচনা করবেন, তেমনিভাবে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজি, মজুদদারী, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রভৃতি সামাজিক ব্যাধি সম্পর্কেও মুসল্লিদেরকে সচেতন করে তুলবেন।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। প্রতি শুক্রবার তিন কোটি থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ মসজিদে সমবেত হয়ে থাকে। এই মানুষগুলোকে যদি আমরা সঠিক পথে আনতে পারি তাহলে দেশটাকে বদলে দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এই মানুষগুলোকে বদলে ফেলার জন্য আমাদের প্রয়োজন প্রশিক্ষিত ইমাম। ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন নীতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে ইমামদের পরিপূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ইমাম গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলাপর্যায়ে ১৯২ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন ও জাতীয় পর্যায়ে তিনজন শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং ৬২ জন খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামকে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement